খুলনায় বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

খুলনায় শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার বেশি রয়েছে। তারা নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন।

খুলনা সিভিল সার্জন দফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত খুলনা শিশু হাসপাতালে ৩৬৩ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ১৪ শিশুকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খুলনার আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণ ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। শুক্রবার ভোর থেকে কুয়াশা ও মেঘের কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বিকেলে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বিকেলে মেঘ কেটে গেলে আবহাওয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

শিশু হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর মা বলেন, শীতে শিশুর অবস্থা বেশ নাজুক। শীতের পোশাক পরিয়ে শীত থেকে রক্ষা করতে পারছি না। তাই ডায়রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

খুলনা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও আরএমও ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাণ্ডাজনিত কারণে খুলনার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। ওষুধ ও খাবার স্যালাইন পর্যাপ্ত রয়েছে। খুলনা সদর হাসপাতালে আলাদাভাবে কোনো ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু নেই। কোনো ডায়রিয়া রোগী আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মীরেরডাঙ্গার আইডিয়াল হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে এক বছর বয়সীদের ঠাণ্ডা রোধে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হাত-পায়ে মোজা পরাতে হবে। আবার ঘামে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)