আ.লীগের সম্মেলন :তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবী পকেট কমিটি নয়,কাউন্সিল চাই

আগামী ৭ নভেম্বর সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের পকেট কমিটি ঘোষণা হবে, না- কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে আগামীর নেতৃত্ব তা নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ।

তবে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবি, পকেট কমিটি নয়, কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত নেতৃত্বের হাতেই দেওয়া হোক উপজেলা আওয়ামী লীগ পরিচালনার দায়িত্ব।

এদিকে, গত ৫ অক্টোবর ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কর্মকান্ডে তৃণমূলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সম্মেলন আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটি বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময় সভার আয়োজন করলেও কারা হবে কাউন্সিলর তা ঘোষণা না করে কাউন্সিলর হতে আগ্রহীদের কাছে আবেদন আহবান করে নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করায় এই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি থেকে ৩১জন করে নির্ধারিত কাউন্সিলর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে ভোট প্রদানের সুযোগ পাবেন। এই ৩১ জনের মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, নয়টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিলে ২১জন। এবং বাকী ১০জনকে বাছাই করা হবে পূর্বে উপজেলা অথবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদে ছিলেন কিন্তু এখন নেই, স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষক, গ্রাম্য চিকিৎসক যারা আওয়ামী লীগ পরিবারের। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা সেসব কথা না বলে আহুত সভাগুলোতে কাউন্সিলর হতে আগ্রহীদের আবেদন করার কথা বলে আসায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু জানান, জেলা থেকে যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতেই প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তির ছড়াছড়ি। যা তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রথম থেকেই সহজভাবে গ্রহণ করেনি। তার উপর তারা আগামী নেতৃত্বের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সকল নিয়ম কানুন নির্দেশনা অমান্য করে তাদের মন মত কাউন্সিলর করে পকেট কমিটি করার পাইতারা করছে। তিনি আরও বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা সাতক্ষীরা-৩ ও ৪নং সংসদীয় আসনে বিভক্ত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন নেতারা চান না এখানে কোন শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে উঠুক।

সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাস্টার নরিম আলী জানান, কেন্দ্র ও জেলার নির্দেশনা উপেক্ষা করে যদি কোন প্রকার সম্মেলন করা হয়, তা হবে প্রহসনের সম্মেলন। গণতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক উপায়ে দলীয় নেত্রী ও জেলার নির্দেশনা মোতাবেক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্মেলন হোক এটাই চাই। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রাণ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)