কে এই ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিজয়ী তোরসা

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ এর বিজয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। গতকাল (শুক্রবার) রাতে সোনারগাঁও হোটেলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের গ্রান্ড ফিনালে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রথম রানার আপ হয়েছেন ফাতিহা মায়াবী আর সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস মেঘলা।

এদিকে রাফাহ নানজিবা তোরসার নাম ঘোষণার পর থেকেই তাকে নিয়ে আগ্রহের পারদ যেন হু হু করে বেড়েই চলছে। কোথায় তিনি পড়াশোনা করেছেন, কিভাবে এলেন রূপালি দুনিয়ায় আর কোন গুণে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এর মুকুটটি ছিনিয়ে নিলেন এসব বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

দুই ভাই বোনের মধ্যে তোরসা বড়। বাবা ২০০৪ সালে মারা যায়। এর ছোটবেলা চট্টগ্রামেই কেটেছে। তার বয়স যখন তিন বছর সে সময় গুটিগুটি পায়ে নাচের হাতেখড়ি তার। এর বছর খানেকের মাথায় শুরু হয় তার আবৃত্তি ও ছবি আঁকা। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি।

ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এ দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। এর আগে, ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে লোকনৃত্যে পুরস্কৃত হন রাফাহ।

এছাড়া অভিনয়ের ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। সেই সুবাদে জাপান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয় সরকারি অনুদানে। সে বছরেই ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন রাফাহ নানজীবা।

২০১০ সালে জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় ভারতনাট্যম নৃত্যে স্বর্ণপদক লাভ করেন রাফাহ। সে বছরই একটি বেসরকারি চ্যানেলের প্রতিভা অন্বেষণের প্রতিযোগিতা মার্কস অলরাউন্ডারে অংশ নিয়ে প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন তিনি।

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে রাফাহ নানজিবা তোরসা বলেন, আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক পরিশ্রম করেছি নিজেকে সেরা হিসেবে দেখবো বলে। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

গত ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নতুন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচনের এই আয়োজনটি। অমিকন এন্টারটেইনমেন্টে সঙ্গে অনুষ্ঠানটির আয়োজক সহযোগী হিসেবে ছিল এক্সপার্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এই আসরে অডিশনের জন্য ৩৭ হাজার ২ শত ৪৩ জন সুন্দরী নিবন্ধন করেন। সেখান থেকে ‘ইয়েস কার্ড’ পান ৩০০ জন। তাদের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস, লুনা ,সুমনা সোমা, রফিকুল ইসলাম র্যাফ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)