আশাশুনির মিষ্টান্ন তৈরির ঘর মশা তৈরির কারখানা

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টির দোকানে মিষ্টান্ন তৈরির জন্য ব্যবহৃত ঘরগুলো ও সংশ্লিষ্ট এলাকা মশা-মাছি তৈরির কারখানা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফলে এসব স্থানগুলো মানুষের জন্য ভয়াবহ স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশব্যাপী এডিস মশা, অন্যান্য মশা ও মাছির প্রাদুর্ভাব বিশেষ করে এডিস মশার উপদ্রবে ডেঙ্গু রোগির ভয়াবহতা নিয়ে সরকার ও জনগণ হিমশিম খেয়ে আসছিল। বর্তমানে প্রকোপ কমে আসলেও সারা বছর কিভাবে এর প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে রীতিমত পরিকল্পনা, আলাপ আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ঠিক তখন আশাশুনির মিষ্টির দোকানগুলোয় সচেতনতা যথাযথ উপলব্ধি করা যাচ্ছেনা। উপজেলার বিভিন্ন মোকামে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় সচেতন হয়েছেন। তবে দোকানের অবস্থার উন্নতি ঘটালেও এখনো মিষ্টি তৈরির কারখানা ও সংশ্লিষ্ট স্থানের অবস্থা খুবই শোচনাীয় হয়ে আছে। কারখানার পাশে কারখানার পানি পড়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে, পানি এতটা ময়লা, কালো ও অপরিচ্ছন্ন যে সেটি মশা-মাছি তৈরির কারখানায় রুপ নিয়েছে। তাছাড়া মিষ্টির দোকান ও কারখানার উচ্ছিষ্ট, পরিত্যাক্ত ও ময়লা আবর্জনা পড়ে এলাকাকে দুর্গন্ধযুক্ত করে তুলেছে।

আশাশুনি সদরের স্বপন সুইটস নামের মিষ্টির দোকানের কারখানা ওয়াপদা এরিয়োর মধ্যে। কারখানার পানি জমা হয় পাশের ডোবায়। সেখানে আবর্জনা, উচ্ছিষ্ট ও মিষ্টি তৈরির জন্য ব্যবহৃত দুধের পরিত্যাক্ত অংশ পড়ে চরম দুরাবস্থার সৃষ্টি করেছে। পানি পয়জনে পরিণত হয়ে ঘন হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানিতে মশা ও মাছিসহ নানা পোকার চলাফেরা ও উৎপত্তি হচ্ছে।

এব্যাপারে সেনেটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ইউএনও মহোদয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের সাথে এলাকায় নিয়মিত অভিযান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মতবিনিময় ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করা হচ্ছে। তিনিা নিজেও নিয়মিত অভিযান ও কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও সমস্যা থাকতে পারে। সমস্যা দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)