দেবহাটায় দূর্গা পুজা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে- ওসি বিপ্লব কুমার সাহা

দেবহাটাতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গা পুজা সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

বক্তৃতায় ওসি বিপ্লব সাহা আরো বলেন, দুর্গা পুজাকে ঘিরে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুজা শুরুর আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুজা চলাকালীন সময়ে স্ব স্ব পুজা মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক, আনসার, গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি টহলে থাকবে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা মোবাইল কোর্টের দায়িত্বেও থাকবেন। আর বিজয়া দশমীতে দেবহাটার ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুজা চলাকালীন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও হুশিয়ারী করেন তিনি। দেবহাটা থানা পুলিশ আয়োজিত দুর্গা পুজার প্রস্তুতি মুলোক মতবিনিময় সভায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব সাহার সভাপতিত্বে এবং সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরৎ চন্দ্র ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দ্রকান্ত মল্লিক প্রমুখ।

এসময় দেবহাটা উপজেলার ২১ টি পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি-সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর উপজেলাব্যাপী মোট ২১টি দুর্গা পুজা মন্ডপের মধ্য থেকে ৪টি পুজা মন্ডপকে প্রশাসনিকভাবে অধিক ঝুকিপুর্ন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঝুকিপুর্ন মন্ডপ গুলো হলো গাজীরহাট সার্বজনীন দুর্গা পুজা মন্ডপ, সখিপুর পালপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পুজা মন্ডপ, দক্ষিন পারুলিয়া জেলিয়া পাড়া সার্বজনীন দুর্গা পুজা মন্ডপ ও উত্তর পারুলিয়া সন্যাসখোলা সার্বজনীন দুর্গা পুজা মন্ডপ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)