স্মার্ট ফোন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের ছোঁয়ায় পাটকেলঘাটা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শুভেচ্ছা জানানোর গ্রেটিং কার্ড

বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে আর স্মার্ট ফোনের দৌলতে আগেই গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে ডাকঘর গুলি। পিয়ন এসে যখন চিঠি আছে বলে হাঁক পাড়ত তখন বুকের মধ্যে কেমন একটা করে উঠতো কার নামে চিঠি ? কে পাঠিয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু মোবাইল বেরিয়ে চিঠি লিখতে মানুষ প্রায় ভুলেই গেছে। তাই গুরুত্ব¡ও কমেছে ডাকঘর গুলির। বর্তমানে গ্রেটিংস কার্ডের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকেরও দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। গ্রেটিংসের সেকালের সঙ্গে একালের টান বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে। পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় আগে আবেগ উন্মাদনা ঘিরে ছিলও শুধুই গ্রেটিংসের কার্ড বিনিময়ের মাধ্যমে। প্রেমিক, প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধবী , ভাই-বোন, সহপাঠী সহকর্মীরা আগে নতুন বছর থেকে বিজয়া দশমী শুভেচ্ছা বিনিময় করত গ্রিটিংস কার্ডের মাধ্যমে।

বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে সময় নেয় কার্ড কেনার বা সময় নেয় কার্ডের উপর নাম লেখার। একটা আঙুলের খোঁচায় ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেশ থেকে দেশান্তরে মুহূর্তের মধ্যে চলে যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা । দিনে দিনে অপ্রয়োজনীয় বিস্ময় হয়ে পড়ছে এই গ্রিটিংস কার্ড। না লাগছে সময় না লাগছে লেখার ঝামেলা। যুব সমাজ এগিয়ে চলেছে স্মার্ট ফোনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। পাটকেলঘাটার এক বই দোকানি বলেন যে আজ থেকে বছর দুয়েক আগে তার দোকান থেকেই ৫০ হাজার টাকার গ্রেটিংস বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বছরে দু হাজার টাকারও গ্রেটিংস বিক্রি হয়নি। তাই সামনের বছর গ্রেটিং কার্ড আনবো কিনা ভাবতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুগল বলেন হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকেই যখন শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে যাচ্ছে তখন আর অযথা গ্রেটিং কেন কিনতে যাবো। বছর আসবে , বছর যাবে আর ধীরে ধীরে বিলুপ্ত প্রায় বস্তুর দিকে চলে যাচ্ছে একসময়ের জনপ্রিয় এই গ্রেটিংস কার্ড।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)