জালালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার দিচ্ছেন কুচক্রী মহল
জেলার তালা সদরের ১১ নং জালালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি দেবাশীষ অধিকারীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তার প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল। জালালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি দেবাশীষ অধিকারীর নিকটতম সম্ভাব্য প্রার্থী ও জালালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান অনিক তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সহ নানা ভাবে এ সকল অপপ্রচার আর কুমন্ত্রণা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তারা যে ধরনের কুমন্ত্রণা ছড়াচ্ছে সেটা আদৌও কখনো যুক্তিগত নয় সে বিষয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মীরা।
জানা যায়, এ বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আলম সুমন স্বাক্ষরিত এক পত্রে নাহিদ হাসান অনিককে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ও সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় একই পত্রে দেবাশীষ অধিকারীকে সভাপতি ও মো. সবুজ সরদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে অপ্রচার দিচ্ছে বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি অনিক। বিশেষ করে এ কমিটির সভাপতি দেবাশীষ অধিকারীকে নিয়ে নানা ধরনের আপত্তিকর কথা ছড়িয়ে দিচ্ছে ফেসবুক সহ অন্যান্য মাধ্যমে। লোক মারফত দিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানা যায়, এ সকল অপপ্রচারের মূল সেনাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ১১ নাং জালালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান অনিক। এরই রেশ ধরে গত ০৭ ই মে নাহিদ হাসান অনিকের নেতৃত্বাধীন তালা প্রেস ক্লাবে দেবাশীষ অধিকারীর কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অনিক লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, দেবাশীষ অধিকারী বিগত সময়ে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য’র সাথে ঈদ-পূজার শুভেচ্ছা পোষ্টার দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। বহিষ্কৃত এই সভাপতির ভাষ্য অনুযায়ী দেবাশীষ অধিকারী বিএনপি দলীয় সমার্থক।
এদিকে, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বলছেন ভিন্ন কথা। ইতিপূর্বে জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি ও সাধারণ সস্পাদক রামপ্রসাদ লিখিত ভাবে প্রত্যায়ন দিয়েছেন, সেখানে লেখা রয়েছে দেবাশীষ অধিকারী পারিবারিক সুত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসাবে এলাকায় সামধিক পরিচিতি।
জানা যায়, দেবাশীষ অধিকারী উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় প্রায় সকল প্রোগামে অংশ গ্রহণ করে এসেছেন এ যাবত। তাছাড়া তার বাবা জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং দেবাশীষ অধিকারীর বড় ভাই দিলিপ কুমার অধিকারী তিনি নব্বই সালের দিকে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিল এবং বর্তমান তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।
এ সকল তথ্য প্রমাণ করে দেবাশীষ অধিকারীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সব মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জালালপুর ইউনিয়েনের ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি অভিজিৎ হালদার বলেন, দেবাশীষ পারিবারিক সুত্রেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয়। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে দলীয় সকল প্রোগামে দেবাশীষের ভূমিকা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার বিরুদ্ধে পূর্বের কমিটির বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান অনিক বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার দিয়ে আসছেন। যে সকল কথা তারা প্রচার করছে তার কোন ভিত্তি নেই বা কোন সঠিক প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে ১১ নং জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি জানান, দেবাশীষ কে ছোট থেকেই চিনি। সে ছোট বেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সকল প্রোগামে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছে। ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ ছিল অস্বীকার্য।
তিনি আরও জানান, দেবাশীষ অধিকারীর বাবা বিদ্যাধর অধিকারী তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১১ নং জালালপুর ইউনিয়ন শাখার সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তার বড় ভাই দিলিপ কুমার অধিকারী সে দীর্ঘদিন যাবত তালা উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিল এবং বর্তমান বাংলাদেশ কৃষক লীগের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। যারা দেবাশীষ অধিকারী ও তার পরিবার নিয়ে কুমন্ত্রণা দিচ্ছে তাদের এটি প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না।
এ সকল বিষয়ে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী বলেন, সংঘটন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় নাহিদ নাসান অনিককে বহিষ্কার করা হয়। তাছাড়া কোন অবৈধ সুযোগ সুবিধা পাওযার জন্য দেবাশীষ কে পদ দেওয়া হয়নি। সে ও তার পরিবার দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি সম্পৃক্তা রয়েছে। আর এ সকল বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিত প্রত্যায়ন দিয়েছেন। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার সে সকল বিষয়ে নিশ্চিত করায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেবাশীষ অধিকারী যোগ্য হওয়ায় তাকে সভাপতি করা হয়েছে।
20
