আশাশুনির ফার্মেসী মালিকদের জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে রোগীরা নাজেহাল

ঔষধ একটি অতীব প্রয়োজনীয় দ্রব্য। নিতান্ত অসহায় অবস্থায় মানুষকে ঔষধ কিনে খেতে হয়। এই অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আশাশুনির ঔষধ বিক্রেতা “ফার্মেসী মালিকরা” জন বিরোধী সিদ্ধান্ত হাতে নিয়ে অসহায় মানুষদেরকে নাজেহাল করে তুলেছেন।
মানুষের অধিকারের মধ্যে “স্বাস্থ্য” একটি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দিতে সরকার ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ ও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশের প্রতিটি পরিবারে অসুখ-বিসুখ লেগে আছে। এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে পরিবারে ঔষধ লাগেনা। চিকিৎসা খরচও এখন অনেকগুণ বেড়ে গেছে। দেশের এমন দ্রব্য খুব কমই আছে, যার কমিশন মূল্য থাকেনা। পাইকারি ও খুচরা মূল্যের ব্যবধানের পাশাপাশি বিভিন্ন দ্রব্যের গায়ের দামের সাথে বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান থাকে। বাংলাদেশের অতীব জরুরী পণ্য- ঔষধেরর বডি রেটের সাথে বিক্রয়ের রেট আলাদা। মাত্র কয়েক মাস আগেও ফার্মেসী বা ঔষধের দোকানে বডির রেট থেকে কমপক্ষে ১০% কনসেশানে ঔষধ বিক্রয় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে গায়ের দরে ঔষধ বিক্রয় করা হচ্ছে। কোন কমিশন নেওয়া হচ্ছেনা। স্থানীয় ফার্মেসী মালিকরা মিটিং করে গায়ের দরে ঔষধ বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কেউ দাম কম নিলে তাকে জরিমানাসহ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কেউ কম মূল্যে ঔষধ বিক্রয় করতে পারছেন না। ফলে ঔষধ ক্রেতা ব্যক্তিবর্গ চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোম্পানিগুলো কম মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা রেখে বডি রেট নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেখানে অতিঃ মূল্যে বিক্রয় করে ক্রেতাদেরকে ঠকান হচ্ছে। স্থানীয় আঃ রহিম জানান, তিনি প্রতিদিন নিজের ও স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে প্রতিদিন শতাধিক টাকার ঔষধ কিনে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি ঔষধ কেনেন। আগে যে ঔষধ ১০% কমিশনে কিনতেন এখন এক টাকাও কম নিচ্ছেনা। ফলে তিনিসহ প্রত্যেক ঔষধ ক্রেতা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। এব্যাপারে মাননীয় এমপি, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনসহ জন প্রতিনিধিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)