সাতক্ষীরা জেলাকে সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু বিনির্মাণে জাতীয় নজরুল সম্মেলন হবে টার্ণিং পয়েন্ট

সাতক্ষীরা জেলাকে সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু বিনির্মাণে জাতীয় নজরুল সম্মেলন হবে টার্ণিং পয়েন্ট। ৪ থেকে ৬ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নজরুল সম্মেলন সাতক্ষীরার নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে করে আপামর সাতক্ষীরা বাসীর কাছে নজরুল চেতনা পৌছে দিতে অন্যরকম ভূমিকা রাখবে। সাতক্ষীরার মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাজনৈতিক গোষ্ঠী কতৃক সন্ত্রাস খুনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশের মানুষের কাছে সাতক্ষীরাকে ভিন্ন চেহারায় যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল সেই ইমেজ সংকট দুর করতে সহায়ক হবে এই জাতীয় নজরুল সম্মেলন। দেশের সব ক্রান্তিকালেই দেশের মানুষকে যেতে হয়েছে নজরুলের কাছে। এ সম্মেলন সফল করতে সবাইকে প্রয়োজনীয় আন্তরিকতা দেখাতে হবে। জাতীয় নজরুল সম্মেলন সাতক্ষীরায় সফল করতে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। সভায় সার্বিক বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক ভুঞা।
মো. আব্দুর রাজ্জাক ভুঞা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব সংগ্রামের সাহসী অনুপ্রেরণা ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। চিকিৎসা করান। রাজ্জাক ভুঞা আরও বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের সূচক শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়। সেই দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নও জাতীয় উন্নয়নের একটি বড় মাপকাঠি। আর নজরুল চর্চায় চেতনার সুকুমার বৃত্তি ঘটে।

সামগ্রিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের উপ পরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। প্রস্ততিসভায় অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম, তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, সঙ্গীত শিল্পী মঞ্জুরুল হক, অধ্যাপক শুভ্র আহমেদ, শ্যামল সরকার, শামিমা পারভিন রতœা, মনিরুজ্জামান ছট্টু, প্রাণকৃষ্ণ সরকার, আব্দুল ওয়াহেদ, রফিকুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন সবুজ, দীপক কুমার বিশ্বাস, সোহরাব হোসেন মনু প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, জাতীয় নজরুল সম্মেলন সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দৃষ্টি সাতক্ষীরায় ফেরানো হবে। সম্মেলন উপলক্ষে ৫০জন সঙ্গীত শিল্পীকে ৫দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। দেয়া হবে সম্মানী। উদ্বোধনীতে বর্ণিল র‌্যালী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদর্শন করবে। প্রদর্শিত হবে দুইটি আকর্ষণীয় তোরণ। কয়েকটি ভেন্যুতে হবে অনুষ্ঠান। মুল ভেন্যু হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমী। এছাড়াও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হবে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ নানান কর্মসূচি। এই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা থাকবে সাতটি উপজেলাতেই। প্রকাশ করা হবে স্মরণিকা, নিমন্ত্রণ পত্র, পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার, টি শার্টসহ বিভিন্ন প্রকাশনা থাকবে। জাতীয় নজরুল সম্মেলন উপলক্ষে ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংবাদ সম্মেলন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)