কালিগঞ্জে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সহ ৩২ জনের নামে থানায় মামলা

কালিগঞ্জের পল্লীতে জমি দখল কে কেন্দ্র করে ৫জন কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ফতেপুর চাকদার ঘটনার একাধিক সহিংস মামলার আসামী কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে,এম মোশারাফ হোসেন সহ ৩২জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীন গাজীর ছেলে আবু মালাইকা বাদী হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮। মামলার আসামী কালিগঞ্জ উপজেলার জাতীয়পাটি নেতা কে,এম মোশারাফ হোসেন ছাড়াও তার পোষ্য সন্ত্রাসী রঘুনাথপুর গ্রামের নুরালীর ছেলে মুজিবর, রফিকুল, সাত্তার, আইয়ুব আলীর ছেলে রসুল, শরিফুল, মিয়ারাজ, বাশারের ছেলে মিয়ারাজ, শফিকুল, সামছুরের ছেলে, মিজান, রাজগুল, মৃত আবু বক্কারের ছেলে, ইউনুচ আলী, আফছার, মৌতলা গ্রামের মজিদ তার ছেলে আশিক, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলতাপের ছেলে আলম, আল আমিন, শ্যামনগর থানার দেউল গ্রামের আব্দুল মান্নান, নিজদেবপুর গ্রামের কুতুব উদ্দীনের ছেলে বাহার আলী, রঘুনাথপুর গ্রামের মুজিবরের ছেলে সবুজ, রফিকুলের ছেলে নাঈম, হানিফের ছেলে মুজিত, ঈমান আলীর ছেলে সামছুর রহমান, নাজিম মোল্লার ছেলে আব্দুর রহমান, রহমান গাজীর ছেলে, মোসলেম, মোসলেমের ছেলে মতিয়ার, শংকরপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে রমজান, সহ ৩২ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। থানা সূত্রে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে, সিদ্দিকুল ইসলাম গংয়ের সঙ্গে একই গ্রামের মুজিবর গংয়ের সহিত জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গল বার ভোর আনুমানিক ৬টার সময় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে,এম, মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের লাঠিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত ভাবে দা, শাবল, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে প্রতিপক্ষের সিদ্দিকুল, হাবিবুল্লাহ সরদার, শাহাদাৎ হোসেন, নাইম সহ ৫ জন কে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।

খবর পেয়ে থানা হতে উপ পরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মাদ খান ঘটনাস্থলে যেয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাদের অবস্থার অবনতি হলে সবাই কে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান হতে সিদ্দিকুর রহমান এবং হাবিবুল্লাহ কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমান সিদ্দিক এবং হাবিবুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান।

চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ তার পোষ্য সন্ত্রাসীদের দ্বারা এলাকায় চাঁদাবাজী, ঘের দখল, জমি দখল, ছিনতাই, ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তার কথা মত না চললে ইউনিয়নে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা অত্যাচার, নির্যাতন করে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোশারাফ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করাইয়াছে।
এ ব্যাপারে কালিগজ্ঞ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান মামালার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)