সাতক্ষীরা রেঞ্জে বিএলসি নবায়নে ঘুষ আদায় ৪১ লক্ষের অধিক
সাতক্ষীরা রেঞ্জের ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট (বিএলসি) নবায়নে সম্ভাব্য উৎকোচ আদায় ৪১লক্ষের অধিক। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার, সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক সহ সংশ্লিষ্টরা ভাগ বাটোয়ার কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী জেলে বাওয়ালীরা। প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরের জুলাই মাসের ১তারিখ থেকে শুরু হয়েছে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট (বিএলসি) নবায়ন। যাহা চলবে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত। তবে সম্পূর্ণ নূতন বিএলসির তৈরিতে সময় সীমা নির্ধারিত হবে। সরকারী নিয়ম হচ্ছে ডিঙ্গি নৌকা স্ব-স্ব স্টেশনের ঘাটে উপস্থিত করে পুরাতন বিএলসি দেখে, মাফ জরিপ অন্তে বিএলসি নবায়ন করা। ২৫ মন নৌকার বিএলসিতে রাজস্ব ৬টাকা, ৫০ মন নৌকায় ১২ টাকা ও ১০০মন নৌকায় ২৪ টাকা সরকারী ভাবে নির্ধারিত আছে। অথচ প্রত্যেকটি নৌকার বিএলসির নবায়নে নেওয়া হচ্ছে ৬শত টাকা। সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশন যথা বুড়িগোয়ালিনীতে সম্ভাব্য বিএলসি নবায়ন ৩ হাজার, কপোতক্ষ স্টেশনে ২ হাজার, কৈখালী স্টেশনে ১ হাজার ও কদমতলা স্টেশনে ১হাজার সর্বমোট ৭হাজার বিএলসিতে ৬শত টাকা করে নেওয়া হলে টাকার অংক দাড়ায় ৭০০০ ৬০০/= মোট ৪২লক্ষ টাকা। এখানে সরকারী রাজস্ব ৬, ১২ ও ২৪ টাকার মধ্যে ১২টাকা করে রাজস্ব ধরলে ৭০০০ ১২/= মোট ৮৪ হাজার টাকা। এখানে রাজস্ব বাদ দিলে উৎকোচের পরিমাণ দাড়ায় ৪১লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে খুলনা পশ্চিম জোন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক এর সাথে কথা হলে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং একই নিয়মে বিএলসি নবায়ন অব্যাহত রয়েছে। সুন্দরবন উপকূলীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বয়ের সাথে কথা হলে তারা বিএলসিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে তারা বলেন, বনজীবিরা বিএলসি নবায়নে অতিরিক্ত টাকা না দিলে বন বিভাগ তাদেরকে বিভিন্ন আইনের ফেকড়ায় ফেলে হয়রানি করে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী জেলে বাওয়ালীরা।