সরকারি গাছ থেকে আম পাড়তে বাঁধা দেওয়ায় এক ইউপি সদস্যসহ আহত-২
ইয়ারব হোসেন :
সামাজিক বন বিভাগের লাগানো গাছ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আম গোপনে বিক্রি করার আভিযোগ উঠেছে। কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ বিপুল পরিমাণ টাকার আম বিক্রি করেন। সরকারি গাছ থেকে গোপনে আম বিক্রির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি এক ইউপি সদস্য ও এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। গতকাল কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী হিজলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম,ছাত্রলীগ নেতা আহাদ আলিসহ গ্রামবাসীরা জানান,তাদের এলাকায় সামাজিক বন বিভাগ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিজলদি এলাকার কাঁচা রাস্তার দুই ধারে আম গাছ লাগান। বর্তমানে আম গাছে ফলন এসেছে। ওই গাছ বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী উপকারভোগী সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ ও জমির মালিকরা আম বিক্রির টাকা পাবেন।অথচ চেয়ারম্যান চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি গোপনে গাছের আম মদনপুর এলাকার এক আম ব্যবসায়ীর কাছে ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। তিনি কোন প্রকার রেজুলেশন না করে বিপুল পরিমাণ আম বিক্রি করে নিজে হজম করার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী গোপনে আম বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে এ ঘটনার প্রতিবাত করেন। একই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। গতকাল ওই গাছ থেকে আম ভাংতে আসলে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা আহাদ আলি বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম আহাদকে তদার উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপকহারে নির্যাতন চালায়। পরে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান বেধড়ক মারধোর করে।এলাকাবাসী উদ্ধার করে কলারোয়া তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান,সরকারি গাছের আম গোপনে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। ওই টাকা কোন উপকারভোগি সদস্যকে ভাগ করে দেয়নি।আম পাড়ায় বাঁধা প্রদান করায় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামকে ও আছাদকে নির্যাতন চালিয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভিন জানান,ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে যান । পরে আম বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করার জন্য বলা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানকে।