জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে তালায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবী জনালেন প্রদীপ মজুমদার

জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে তালার সার্বিক উন্নয়ন ও তালায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবীতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর (বুধবার) বিকালে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তালা উপজেলা সদরের মৃত রাজ কুমার মজুমদারের পুত্র প্রদীপ মজুমদার।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তালা উপজেলা সাতক্ষীরা জেলার একটি ঐহিত্যবাহী উপজেলা। এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, রাজনীতির অঙ্গনের প্রতিথযশা অনেক ব্যক্তিত্ব। তালা সদর পিছিয়ে পড়া অবহেলিত ও অনুন্নত একটি জনপদ। তালা উপজেলা সদর দিয়ে বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাকসহ প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহ চলাচল করে। এখানে কোন বাসস্ট্যান্ড, ফুটপথ কিংবা ড্রেন নেই। তাই জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য মেলা বাজার থেকে কপোতাক্ষ পাড় দিয়ে তালা মালোপাড়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ ফুট প্রস্থ একটি রাস্তা নির্মাণ করা দরকার। একই সাথে জাতপুর বাজার হতে আগোলঝাড়া হয়ে যে রাস্তা তালা উপজেলা পরিষদের সম্মুখ দিয়ে খলিলনগর বাজার হয়ে কাশিমনগর প্রবেশ করেছে। রাস্তাটি আরও প্রসস্থ করে আঠারোমাইল-পাইকগাছা সড়কের সাথে সংযোগ করে দেয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
তিনি আরও বলেন, একটি এলাকার প্রাণ হলো সে অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় সুদীর্ঘ ৫০ বছর আগে তালা সরকারি কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও অদ্যবধি শিক্ষকদের থাকার কোন আবাসন নেই। যে কারণে শিক্ষকরা এখানে বেশিদিন থাকতে চান না। এছাড়া কলেজের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক ছাত্রী হলেও তাদের জন্য নেই কোন হোস্টেল। যদিও এ ধরণের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য তার নিজ দান করা এক বিঘা জায়গা দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে অবিলম্বে শিক্ষক ও ছাত্রীদের আবাসস্থান নির্মার্ণের জোর দাবী জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নের চরম প্রতিকূল সময়ে যারা জমি দিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিলেন তাদের কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি স্মৃতি ফলক স্থাপনের দাবিও জানিয়েছেন। ফলে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে অপরদিকে এলাকার মানুষ এ ধরণের প্রতিষ্ঠান তৈরিতে অনুপ্রাণিত হবে। অপরদিকে তালা শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি এবং আব্দুল বারি বিশ্বাসসহ যারা জমি, অর্থ, শ্রম দিয়ে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিলেন তাদের কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি স্মৃতি ফলক স্থাপনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা সদর জনপদে একটি অত্যাধুনিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আপামর জনসাধারণের। তিনিও সেই স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এই দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে তালাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে জ্ঞানী-গুণী বিজ্ঞ সুধীজনেরা সমাবেশ করে সরকারের প্রতি আবেদন করেছেন। কিন্তু আজও কোন সুফল দেখা যাচ্ছে না। তিনি একজন বর্ষিয়ান নাগরিক। মৃত্যুর পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর/প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে চান। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ ছেলে-মেয়েরা যাতে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে এটাই তার প্রত্যাশা। তার মৃত্যুর পূর্বে অনাগত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি তালা উপজেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এসকল দাবী উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)