‘আগে খালেদার মুক্তি পরে নির্বাচন’
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া, আজ তফসিল ঘোষণা হলে পরবর্তীতে কী করণীয় ও আগামী আন্দোলনের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে নেতারা নিজস্ব মতামত দিয়েছেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারের সংলাপকে নেতারা ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য নীতিনির্ধারকদের তাগিদ দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে কোনো প্রকার অংশ নেয়া যাবে না বলেও কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন তারা।
বৈঠক সম্পর্কে বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে দলের সিনিয়র নেতাদরে সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তারপর নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলেছি। সিনিয়র নেতারা আমাদের বক্তব্য ধৈর্য সহকারে শুনেছেন।’
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘সাত দফা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তার পর নির্বাচনে অংশগ্রহণ। নেতারা আমাদের মতামত নিয়েছেন পরবর্তীতে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ অংশ নেন।