কালিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের পালিত কাটি গ্রামে খুকুমনি (৩৬) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রবিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের পর হত্যা এমন অভিযোগ ওই গৃহবধূর পরিবারের।নিহত খুকুমনি পালিত কাটি গ্রামের বাহারাইন প্রবাসী আব্দুল্লাহ টাপালীর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতে ।স্থানীয়রা ও নিহত খুকুমনির মা হামিদা বেগম জানান,গত ৩ বছর যাবৎ তার জামাই আব্দুল্লাহ বাহারাইনে আছে। সেই থেকে খুকুমনি তার দুই ছেলেকে নিয়ে পালিতকাটি গ্রামের বাড়িতে বসবাস করত। সেই সুযোগে পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামের সুভাষ মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল (৩৯) তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত। এবং দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল তার মেয়েকে। কিন্তু খুকুমনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করে। যার কারণে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে খুকুমনিকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করছিলো বলে তিনি জানান।
এসময় তিনি আরও বলেন তার মেয়ের দুই ছেলে। বড় ছেলে ঘটনার আগের দিন তার বড় চাচার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো আর ছোট ছেলে হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র। সে মাদ্রাসায় থাকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন বাবুর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেছে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রবিবার সকালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, আগামীকাল সোমবার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাছাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা।