দেবহাটায় সাজানো বিয়েতে ফাঁসছে এক চাকরীজিবী
দেবহাটায় সাজানো বিয়েতে ফাঁসতে বসেছে এক চাকরিজীবী। প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে চাকরিজীবী ছেলেকে বিয়ে করে ঘর সংসার না করেও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দশ লক্ষ টাকা আদায়ের পায়তারা করছে একাধিক বিবাহের নায়িকা মারুফা খাতুন। জানা যায়, উপজেলার উত্তর কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম খোকনের কন্যা আট বছর বয়সী ১সন্তানের জননী মারুফা খাতুন প্রথম বিয়ের পরে সেখানে বনিবনা না হলে তালাকপ্রাপ্ত হয়। প্রথম পক্ষের থেকে তার একটি পুত্র সন্তান আছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষে পুনরায় সখিপুর কেবিএ কলেজে ভর্তি হলে তার প্রেমে ফাঁসে একই কলেজে অধ্যয়নরত খেজুরবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোরশেদ আলম। দীর্ঘ প্রেমের পরে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে কন্যার পিতা-মাতা ও একজন সাক্ষীর সম্মুখে সাতক্ষীরা কাজী অফিসে তাদের বিবাহ হয়। কিন্তু সাক্ষী করা হলেও সে জানে না বিয়ের দেনমোহর কত টাকা? তাছাড়া বিয়ের অপর ২ সাক্ষীর স্বাক্ষর নেওয়া হয় কলেজে বসে। মোর্শেদের পিতা আব্দুল মালেক জানান, ছেলের বিবাহের কথা শুনে আমরা মেনে নেওয়ার জন্য তাদেরকে বলি। কিন্তু মারুফা তার পরিবারের কথা শুনে আমাদের বাড়িতে না এসে বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকে এবং একাধিক মিথ্যা মামলা করে আমাদের হয়রানি করে চলেছে। তাছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে সে ২৪-০৬-২০১৮ একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। ১৪-০৭-২০১৮ তারিখে পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার জন্য বলিলে কন্যা পক্ষ না মেনে চলে যায়। এবিষয়ে মারুফা খাতুন বলেন, কলেজে পড়াকালীন সময়ে মোর্শেদের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। আমার পারিবারিক অবস্থা ও আমার পূর্বের বিবাহের কথা জানার সত্ত্বেও সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরবর্তীতে বিয়ের পর আমাকে তার পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী নির্যাতন করতে থাকে। আমি বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি। পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমি উভয় পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। আমি ছেলে-মেয়ে ও তাদের পরিবার এবং বিয়ের সাক্ষীদের মতামত গ্রহণ করি। সমাধানের এক পর্যায়ে মারু-ফা ও তার সাথে থাকা উকিলের সহকারী পরিচয়দানকারী একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিয়ে কক্ষের বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পরে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে শালিস বৈঠককে অবমাননা করে এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।