ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন সদস্য হলেন সারা হোসেন
ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ চলাকালে সামরিক আক্রমণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন এই কমিশনে স্থান পেয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভোজিস্লাভ সুক (স্লোভেনিয়া) বুধবার এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডেভিড মাইকেল ক্রেন (যুক্তরাষ্ট্র)। কমিশনের অন্য সদস্য হলেন কারি বেত্তি মুরুং (কেনিয়া)।
এই কমিশনকে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ৩৯ তম অধিবেশনে মৌখিকভাবে তাদের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আর ২০১৯ সালের মার্চে কাউন্সিলের ৪০ তম অধিবেশনে কমিশনের চূড়ান্ত লিখিত প্রতিবেদন দিতে হবে।
মানবাধিকার পরিষদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ মে এক বিশেষ অধিবেশনে পশ্চিম জেরুজালেম, গাজাসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বেসামরিক প্রতিবাদ সমাবেশে সামরিক হামলা চালানোর ফলে আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে আন্তর্জাতিক স্বাধীন কমিশন প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই কমিশন বেসামরিক প্রতিবাদ সমাবেশে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপটে সব ধরণের সহিংসতার অভিযোগ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘনের তদন্ত করবে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। ইতোমধ্যে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কোরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে যেই দুই বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, তাদের একজন ছিলেন সারা হোসেন। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘের ভলান্টারি ফান্ড ফর ভিক্টিমস অব টর্চারের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।