পাঁচ মেয়র প্রার্থীসহ ১১৬ কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৮ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২৮ জন রয়েছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ ওয়ার্ডে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫৪ জন ও ১৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সির পদে ৮৪ জন অংশ নেন। অপরদিকে ৭ মেয়র প্রার্থীও মধ্যে ৫ মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান জানান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রার্থীরা যদি প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পান তবে তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।
জামানতের টাকার অংক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থীরা যে ওয়ার্ড থেকে অংশ নেবেন সে ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১ থেকে ১৫,০০০ পর্যন্ত হলে তাদের জামানত ১০ হাজার টাকা, ১৫,০০১ থেকে ৩০,০০০ পর্যন্ত থাকলে তাদের জামানত ২০ হাজার টাকা এবং ৩০,০০১ থেকে ৫০,০০০ হলে জামানত ৩০ হাজার টাকা। তবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন তাদের বেলায় জামানত নির্ধারিত ১০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও জোর করে তাতে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশন আটটি ওয়ার্ডের নয়টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে। তার মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ডের পাঁচটি কেন্দ্রের প্রতিটিতে ভোটার সংখ্যা বিজয়ীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর ভোটের পার্থক্যের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ওই পাঁচটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন বাংলাদেশ কমিউিনিস্ট পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রুহুল আমিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাও. ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন।
এদিকে জামানতের টাকা ফেরত পাবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত মেয়র নৌকা প্রতীকের এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের হাসান উদ্দিন সরকার।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৯। সে হিসাবে ৮ ভাগের ১ ভাগের সমান ভোটের সংখ্যা হয় ৮১ হাজার ৯৩ দশমিক ছয় ভোট। নির্বাচনে জামানতের টাকা তারাই ফেরত পাবেন, যারা এই পরিমাণের বেশি ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, মেয়র পদে বাংলাদেশ কমিউিনিস্ট পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রুহুল আমিন পেয়েছেন ৯৭৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মাও.ফজলুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮১ ভোট। ফলে জামানত ফেরত পাওয়ার মতো কাঙক্ষিত ভোটের সংখ্যা এই ৫ মেয়র প্রার্থীর কারও নেই। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন ৪ লাখ ১০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬১ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকীব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, মেয়র পদে প্রতি প্রার্থী জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছেন।