মাদক নিমূলে কলারোয়াবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন- ওসি বিপ্লব দেবনাথ
কামরুল হাসান,কলারোয়া :
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব দেবনাথ মাদক নির্মূলে কলারোয়াবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূল একটা চলমান প্রক্রিয়া। দু’একদিনে মাদক নির্মূল করা অসম্ভব, সেজন্য সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গণসচেতনতার মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সদিচ্ছাতে মাদক, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের প্রতিহত করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরো বলেন- ‘চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মাদক ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা যাদের ছত্রছায়া থাকে তাদের এবং মাদকসেবনকারীদের কোন ছাড় নেই, সে যেই হোক আর যে পেশারই লোক হোক।’
বিশ্বায়নের এযুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, অন্যান্য অনলাইন সেবা ও সংবাদ মাধ্যমসহ সকল ক্ষেত্রে মাদক ও মাদক ছড়িয়ে দেয়ার কুশিলবরা যাতে কোনভাবেই অনুপ্রাণিত না হয় সেজন্য সকল মহলকে সচেতন থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন জেলার ধারাবাহিকভাবে পরপর ৩ বার শ্রেষ্ট ওসির পুরস্কার পাওয়া অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব দেবনাথ।
তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন- ‘কথাবার্তায় ও লিখনীর মাধ্যমে যারা মাদক বিক্রেতা ও তাদের পরিবারের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন, তারাই হচ্ছেন মাদকের মদদদাতা। মাদক নির্মূলের স্বার্থে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রহিয়াছে। খুব শীঘ্রই এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। যতবড় ক্ষমতাধর হোক না কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কলারোয়া থেকে মাদক নির্মূল করার ব্যাপারে থানা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। এ ব্যাপারে মিডিয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের সর্বশ্রেণীর লোকজনের সহযোগীতা কামনা করছি।’
তিনি আরো লিখেছেন- ‘যারা মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য মায়া কান্না করছেন, তারাই হচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতা। মাদক বিক্রেতাদের পক্ষ নিয়ে মাদক বিক্রেতাদেরকে উৎসাহ না যোগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।’
অনুযোগের সুরে তিনি বলেন- ‘যে পরিবারের নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস নেই, মাদক ব্যবসায় হচ্ছে তার পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। পরিবার তো অনেক কিছু দাবি করতেই পারে। তবে সমাজের এলিট মানুষ হিসেবে বিষয়টি আমাদের দেশ ও রাষ্টের স্বার্থে বুঝে নিতে হবে। সমাজের কতিপয় মানুষ যারা নিজেদেরকে অনেক জ্ঞানী ভাবে, তারা আসলে চায় না দেশ থেকে মাদক নির্মূল হোক। মাদক পরিবারের মিথ্যা ও বানোয়াট অজুহাতকে সমাজে মাদক ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার লাভ করবে ও শান্তি বিনষ্ট হবে। সকলের প্রতি অনুরোধ আসুন মাদক বিক্রেতা ও তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।’