দুই সন্তানের জনক ফুসলিয়ে আনলো নবম শ্রেণির ছাত্রীকে
কামরুল ইসলাম :
পেশায় ভ্যান চালক। বয়স চল্লিশ। আগে দুই বিয়ে করেছেন। ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে। এই ভ্যান চালক রহিম সানা নবম শ্রেণিতে পড়া এক তরুণিকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসেছেন। সাতক্ষীরায় এনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েছে।
রোববার সাতক্ষীরা আদালত চত্বরের বাগান থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। বর্তমানে এই ভ্যানচালক ও স্কুলছাত্রী সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এ্যাড. সাকিব হোসেন জানান, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার খানপুর এলাকা থেকে তাসলিমা খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে আনা হয়েছে এমন সংবাদ পায়। ফুসলিয়ে এনেছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কেয়ারগাতি গ্রামের শামসুর সানার ছেলে ভ্যনচালক রহিম সানা। তাকে সহায়তা করেছে একই এলাকার আবির হোসেন।
তিনি আরও জানান, তারা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করার কথা বলতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় সাতক্ষীরা থানার পুলিশ তাসলিমা, রহিম সানা ও তার বন্ধু আবিরকে থানায় নিয়ে যায়। তাসলিমা জানিয়েছে, রহিম সানা তাকে মিথ্যা বলে নিয়ে এসেছে। সে মনিরামপুরের বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অপরদিকে রহিম সানা স্বীকার করেছে যে তার দুই বিয়ে। বাড়িতে দুটি সন্তানও রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এসআই শহিদুল ইসলম জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন আসার পর বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।