যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
ডি এস ডেস্ক:
বিকৃত যৌনাচার নিয়ে আলোচিত রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১২ মে) দুপুরে ঝাড়ু মিছিল বের করে চন্দ্রিমা থানা ঘেড়াও করে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড শিরোইল কলোনির লোকজন।
শুক্রবার (১১ মে) নগরীর শিরোইল কলোনি জামে মসজিদে যুবলীগ নেতা সুমনের যৌনাচার নিয়ে তার পক্ষে মন্তব্য করায় ইমামের উপর চড়াও হয় এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে শিরোইল কলোনী এলাকায় রাসিক কাউন্সিলর অফিসের সামনে লোকজন জড়ো হতে থাকে। মিছিলটি ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে থেকে বের হয়ে যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনের বাড়ির সামনে দিয়ে হাজরা পুকুর, ছোট বনগ্রাম ও বার রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দলমত নির্বিশেষে নগরীর প্রায় ১ হাজার বিক্ষুদ্ধ নারী-পুরুষ এ ঝাড়ু মিছিল বের করে।
এরপর চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও করে থানার সামনে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে এলাকাবাসী। এ সময় তারা ধর্ষণকারী বহিষ্কৃত যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের গ্রেফতার, শিরোইল কলোনী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মাইনুল ইসলাম আসরাফির বিচার ও শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জণ প্রামানিকের গ্রেফতারের ও শাস্তির দাবি জানায়। চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির বিক্ষুদ্ধ জনতার সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন, কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে ইমামের দায়েরকৃত অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি। এসময় ওসির বক্তব্যে ১৯ নং ওয়ার্ডের জনগণ আশ্বস্ত হয়ে ফিরে যায়।
নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার একাধিক বাসিন্দা ব্রেকিংনিউজকে জানান, শিরোইল কলোনি জামে মসজিদের ইমাম ও শিরোইল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিক ধর্ষণকারী মহানগর যুবলীগ নেতা সুমনের ধর্ষণের অপরাধ ঢাকতে দীর্ঘদিন যাবৎ অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার মসজিদে খুতবা পাঠের সময় সুমনের প্রসঙ্গ তুলে তার পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামের উপর চড়াও হয়।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ব্রেকিংনিউজকে জানান, শিরোইল কলোনির বাসিন্দারা তাদের কাউন্সিলর নুরুউজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে ইমাম মামলা করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা দলবদ্ধ হয়ে চন্দ্রিমা থানার সামনে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জড়ো হয়।
মামলার বিষয়টি সত্য নয় বলে তাদের আশ্বস্ত করলে তারা ফিরে যান।
উল্লেখ্য এক কিশোরের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌনচারের ভিডিও গত ১৫ এপ্রিল ফাঁস হয়।
পরে একাধিক অনলাইন পোর্টাল, রাজশাহীর স্থানীয় পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। গত ২০ এপ্রিল রাজশাহী মহানগর যুবলীগ থেকে সুমনকে বহিষ্কার করা হয়। সঙ্গে কারণ দর্শাতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও মহানগর যুবলীগের নিকট ও এলাকাবাসীর নিকট নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি সুমন।
ইতোমধ্যেই তার স্বীকারোক্তি মূলক অডিও রেকর্ড ও ধর্ষণ হওয়া কিশোরের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।