আশাশুনির মাঠ মাঠে হলুদ সবুজের সরিষা গাছের সমারোহ
আশাশুনি প্রতিনিধি:
সবুজে ঘেরা গাও গ্রামের চিরচেনা রূপ হলুদ আর হলিদ-সবুজে একাকার হয়ে অপরূপ সৌন্ধর্যে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহে উজ্জীবিত হয়ে সাড়ে ৩ সহস্রাধিক কৃষক এবছর সরিষা আবাদ করায় এই অপরূপ পরিবেশেন উদ্ভব হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ সরিষার ফলন পাবে বলে আশায় বুক বেধেছেন কৃষকরা।
আমন ফসল উঠার পর এলাকার কৃষকদের বড় অংশ বোরো ধান আবাদের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বীজ তলা, জমা তৈরিতে ২ মাসের অধিক সময় পতিত থাকে এসব জমি।
পতিত জমিতে বোরো আবাদের আগে অতিক্ত ফসল হিসাবে সরিষা আবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও প্রনোদনার আওতায় এনে সহযোগিতার মাধ্যমে সরিষা চাষের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কার্যক্রম হাতে নেয় কৃষি বিভাগ। ফলে ডাঙ্গার জমিতে সরিষা আবাদের পাশাপাশি ধান চাষের বিলান জমিতে দুই ফসলের মাঝের পতিত সময়ে সরিষা আবাদের লক্ষ্যস্থির করে এগিয়ে আসে কৃষি বিভাগ। ফলশ্রুতিতে এলাকার মাঠের পর মাঠ এখন সরিষার ফুলে হলুদ রঙের সুদৃশ্য অবতারনা বিরাজ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, আমরা এবছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯০০ হেক্টরর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের উদাবুদ্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে ৯১০ হেক্টর জমি সরিষা আবাদের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩৫০ হেক্টর রিলে ফসল উৎপাদনের আওতার জমি রয়েছে। আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারি ১৪ ও ১৭, বিনা ৯ ও টরি ৭ জাতের সরিষা রয়েছে। উপজেলায় ১৭০০ জন প্রনোদনা কৃষকসহ মোট ৩৬০০ জন কৃষক সরিষা আবাদ করেছেন। এবছর সরিষার আবাদও ভাল দেখা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে হেক্টর প্রতি ১.২ মেঃটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশা করছি। সে অনুযায়ী এবছর আশাশুনিতে ৯১০ মে.টন থেকে ১০৯২ মে.টন সরিষা উৎপাদন হতে পারে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মে.টন সরিষার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা হওয়ায় এবছর ৮ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার সরিষা উৎপাদিত হবে ইনশাল্লাহ।
Please follow and like us: