সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের দাবিতে সাতক্ষীরায় পূজা উদ্যাপন পরিষদের মানববন্ধন কর্মসুচি পালন
রঘুনাথ খাঁ:
দেশব্যাপি কর্মসুচির অংশ হিসেবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ
পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ
এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠণটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, সহসভাপতি স্বপন কুমার শীল, বাসুদেব সিংহ, রঘুজিৎ গুহ, বিকাশ চন্দ্র দাস, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, বিশ্বরুপ সানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশে বসবাসকারি হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলে অংশ নিয়েছিলো। হিন্দু মা ও বোনেরা অন্যদের সঙ্গে ধর্ষিত হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে হিন্দুরাও ছিল। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও হিন্দুরা অবহেলিত, নির্যাতিত , নিপীড়িত ও নিষ্পেশিত। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের পরিবর্তে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ১৯১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ, দেবোত্তর বোর্ড গঠণ ও হিন্দু
ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নসহ সাতদফা দাবি বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলো। দূঃখের বিষয় গত সাড়ে ১৪ বছরেও আওয়ামী লীগ তাদের
ইস্তেহার অনুযায়ী হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেনি। এরফলে হিন্দুদের জমি দখল, নাবালিকা মেয়েদের ফুসলিয়ে নিয়ে আইন বহির্ভুতভাবে ধর্মান্তরকরন, হিন্দুদের উপর হামলা, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার ঘটনা চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দু নির্যাতনের
ঘটনায় ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই আজ বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদ তিন দফা দাবিতে দেশব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করছে।
আগামি সংসদীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার এসব দাবি না মানলে তারা বৃহত্তর কর্মসুচি নেবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন।