সাতক্ষীরা সেবস সংসদ এর উদ্যোগে তাল বীজ রোপণ

রঘুনাথ খাঁ:

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তালবীজ রোপণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকাল নয় টায় সামাজিক় বন বিভাগের জেলা কর্মকর্তা জি এম মারুফ বিল্লাহ  যোগরাজপুর মো ড়ে নিজের হাতে তাল বীজ লাগিয়ে রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বাবুলিয়াস্থ স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন সেবা সংসদের উদ্যোগে এবং সামাজিক বন বিভাগের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সদর উপজেলার সাতক্ষীরা -যশোর সড়ক হতে ছাতিয়ানতলা ভায়া যুগরাজপুর তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কের রোপণ  কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাস্তার দুই ধারে প্রায় এক হাজার ৮০০ তালের বীজ রোপন করা হবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোঃ সিরাজুল ইসলাম,প্রফেসর মো : রজব আলী, মো: কাওছার আলী,হোমিও ডাক্তার মো: ইসরাইল,সাংবাদিক এম এম নেওয়াজ মিনাল,মোঃ মহিবুল্লাহ প্রমুখ।পরে,দেশ ও জাতির সম্মৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মুক্তির জন্যও দোয়া করা হয়।

উল্লেখ্য, তালগাছ একটি বহুমুখী ফলজ গাছ। সাম্প্রতি তাল গাছ বজ্র নিরোধক গাছ হিসাবে বহুল প্রচারিত।গাছটির প্রতিটি অংশ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য ও ব্যাবহার্য্যের উপকরণ হিসেবে বেশ সমাদৃত।
একটু দেরীতে ফল আসলেও রোপণের এক বছরের মধ্যেও থেকে মানুষের ব্যবহারের সহায়ক হয়ে ওঠে। এ গাছটি পরিবেশ ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাল গাছ রোপণের জন্য জোরালো ভূমিকায় রেখেছেন।

তাল গাছের পাতা ও মানুষ বিভিন্ন পণ্যের উপকরণ ও গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার করেন। পাতা দিয়ে গ্রামীণ জনপদের মানুষ ঘরের ছাউনি,বেড়া ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।তাল গাছের শাখার আঁশ (আঞ্চলিক ভাষায় চোচ বলা হয়)দিয়ে ঘুনি বা দোড় তৈরি করা হয়। কান্ড জ্বালানি কাঠ হিসাবে ব্যবহার কারা হয়।ঘরের চালা তৈরিতে ব্যবহার করি। ঘরের আড়া হিসাবে ব্যবহার করি।ঘরের জানালা তৈরীতে এ কাঠ ব্যাবহার করা হয়।

স্ত্রী ও পুরুষ তাল গাছে কাটলে মিষ্টি রস বের হয়। যা দিয়ে গুড় তৈরি হয়। মিছরি তৈরি হয়। চিনি তৈরী হয়।পিঠাপুলি খেতে তালের রস গুড়ের যথেষ্ট ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।তালের শ্বাস মৌসুমী ফল হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে। তালের মাশ দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে জেলি, আচার ও বড়া তৈরি করা হয়। যা খুবই সুস্বাদু। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি তালের দাম ২০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।শুকনো বীজ থেকে  শ্বাস সংগ্রহ করে খাওয়া হয়। কুরমা তৈরিতে তালের বীজের বেশ কদর রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)