ভোমরায় ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চলছে প্রকাশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়
ভোমরা স্থল বন্দর বর্তমান দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থলবন্দর। এ বন্দরে আমদানি রপ্তানী যেমন বাড়ছে তেমনি যাত্রীদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।বাড়ছে সরকারের আয়। তবে রাজস্ব প্রাপ্তিতে অনেকটা প্রভাব ফেলছে অবৈধ হুন্ডি ও ভারতীয় রুপী কেনাবেচা। ভারত থেকে আসা যাত্রী, ব্ল্যাক ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা ভারতীয় রুপির প্রধান যোগানদাতা। ভারত গমন ইচ্ছুক যাত্রী, অবৈধ পারাপার এবং ধূঢ় ব্যবসায়ীরা ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লেনদেন করে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোমরা বন্দরে বাবলা ফটোকপি, গাজী মেডিকেল, সর্দার মার্কেটে রাকিব স্টোর, শেখ মার্কেটে ভাই ভাই স্টোর, মায়ের দোয়া স্টেশনারি,ফলমোড়ের সঞ্জয় পান ঘর ও মামুন টেলিকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজস্ব ব্যবসার আড়ালে ভারতীয় রুপি কেনা-বেচা এখন মুখ্য ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বেলা এগারটা এবং সন্ধা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায়। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত এমন অভিযোগ রয়েছে।
ভাই ভাই স্টোরের মালিক হবিবর রহমান জানান, আমরা ইন্ডিয়ান টাকা কেনা-বেচা করি না। ইন্ডিয়া থেকে যারা মটর শ্রমিক আসে তারা আমার দোকান থেকে কিছু মাল নেয়। তখন ইন্ডিয়ান টাকার বিনিময় হয়।
তবে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সীমান্ত ভিত্তিক অপরাধ প্রবণতা কমাতে অবৈধভাবে হুন্ডি ও বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচা বন্ধ করা আবশ্যক বলে মনে করেন সচেত মহল।সচেতন মহল আরো মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন।অবৈধ ব্যবসায়িদের শাস্তির আনতে হবে। পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তহলে সরকার লাভবান হবে।