ভোমরায় ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চলছে প্রকাশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়

রঘুনাথ খাঁ:
সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবসার আড়ালে অনুমোদনহীন কেনা-বেচা চলছে ভারতীয় রুপি। এর পাশাপাশি চলছে হুন্ডির রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা কেনা-বেচা হয়। কর্তৃপক্ষের গা ভাসানোর দায়িত্বই অবৈধ ব্যবসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। এতে করে সরকার প্রচুর পরিমানে  রাজস্ব হারাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকগুলো। এছাড়া অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ রূপান্তরিত করে অপরাধ প্রবণত বাড়ছে।

ভোমরা স্থল বন্দর বর্তমান দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থলবন্দর। এ বন্দরে আমদানি রপ্তানী যেমন বাড়ছে তেমনি যাত্রীদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।বাড়ছে সরকারের আয়। তবে রাজস্ব প্রাপ্তিতে অনেকটা প্রভাব ফেলছে অবৈধ হুন্ডি ও ভারতীয় রুপী কেনাবেচা। ভারত থেকে আসা যাত্রী, ব্ল্যাক ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা ভারতীয় রুপির প্রধান যোগানদাতা। ভারত গমন ইচ্ছুক যাত্রী, অবৈধ পারাপার এবং ধূঢ় ব্যবসায়ীরা ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লেনদেন করে থাকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোমরা বন্দরে বাবলা ফটোকপি, গাজী মেডিকেল, সর্দার মার্কেটে রাকিব স্টোর, শেখ মার্কেটে ভাই ভাই স্টোর, মায়ের দোয়া স্টেশনারি,ফলমোড়ের  সঞ্জয় পান ঘর ও মামুন টেলিকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজস্ব ব্যবসার আড়ালে ভারতীয় রুপি কেনা-বেচা এখন মুখ্য ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বেলা এগারটা এবং সন্ধা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায়। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত এমন অভিযোগ রয়েছে।

ভাই ভাই স্টোরের মালিক হবিবর রহমান জানান, আমরা ইন্ডিয়ান টাকা কেনা-বেচা করি না। ইন্ডিয়া থেকে যারা মটর শ্রমিক আসে তারা আমার দোকান থেকে কিছু মাল নেয়। তখন  ইন্ডিয়ান টাকার বিনিময় হয়।

তবে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সীমান্ত ভিত্তিক অপরাধ প্রবণতা কমাতে অবৈধভাবে হুন্ডি ও বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচা বন্ধ করা আবশ্যক বলে মনে করেন সচেত মহল।সচেতন মহল আরো মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন।অবৈধ ব্যবসায়িদের শাস্তির আনতে হবে। পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তহলে সরকার লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে ভোমরা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাজরিহার সঙ্গে সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)