ফাইনালে যে কৌশলে খেলবে দুই দল
স্পোর্টস ডেস্ক:
মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। এরপরই শুরু হবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের মহারণ। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স একে অপরের মুখোমুখি হবে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না নিশ্চিত। এই ম্যাচকে ঘিরে নিজের সেরা কৌশলটাই কাজে লাগাবেন দুই কোচ লিওনেম স্কালোনি ও দিদিয়ের দেশম।
প্রথমেই ধরা যাক স্কালোনির কথা। এবারের আসরে আর্জেন্টিনা একেক ম্যাচে একেক রকমের কৌশল অবলম্বন করছে। লিওনেল স্কালোনি যেমনটা বলেন, ‘আমরা ম্যাচ বুঝে কৌশল নির্ধারণ করি। প্রতিপক্ষকে আগে বিশ্লেষণ করি।’
তার মানে ম্যাচের মাঝপথেই আর্জেন্টিনা কৌশল পরিবর্তন করে নেয়। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপেও কেউ এমন খেলা খেলতে পারেরনি। কৌশলটা হলো, ম্যাচের প্রথম দিকে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার সুযোগ দেয়া।
এরপর নিজেদের ডিফেন্স লাইনটা ঠিক করে। এই ফাঁকে মাঝমাঠের খেলাটা ঠিক করে নেন তারা। প্রতিপক্ষকে যাচাই করার পরই সাঁড়াশি আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে কৌশল কী হবে তা কেবল মাঠেই দেখা যেতে পারে। তবে স্কালোনি খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আনবেন না।
ওইদিকে দিদিয়ের দেশম আবেগের রাশটা সবসময়ই টেনে ধরেন। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে, শুরুতেই আঘাত করা তাদের কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিপক্ষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করে ম্যাচে এগিয়ে যেতে চায় ফরাসিরা।
সেমিফাইনালে তারা এমন কৌশলেই খেলেছে। বল পজিশন নিয়ে খুব একটা ভাবে না ফরাসিরা। তাদের আগ্রহ বেশি থাকে কাউন্টার আক্রমণের দিকে। এর কারণ কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার গতির কাছে পরাস্ত হবে যে কেউ। তিনি আক্রমণে যোগ করেন বাড়তি শক্তি।
তার গতির সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্স লাইন। উইংয়ে এমবাপ্পের গতি আর আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের প্রভাব কাজে লাগিয়ে গোল করার চেষ্টায় থাকবে ফরাসিরা।
এই ম্যাচে দুই দলের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন দুজন। তারা লিওনেল মেসি কিংবা এমবাপ্পে না। প্রথমজন দ্য স্পাইডার ম্যান খ্যাত ২২ বছর বয়সী জুলিয়ান আলভারেজ। খেলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। তাকে ‘দ্য স্পাইডার’ নামে ডাকা হয়। চার গোল করে এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকিং জোনের অন্যতম ভরসা আলভারেজ।
ফ্রান্সের ট্রাম্পকার্ড দলের মূল স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। আজ ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অন্যতম ভরসা তিনি। ৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৪টি।