ভারতে ২ থেকে ৫ বছর জেল খেটে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছে ২৫ জন তরুন তরুনী
মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ভারতে ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত জেল খেটে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফিরেছে ২৫ জন তরুন তরুনী। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এদের মধ্যে ১৩ জন তরুনী ও ১২ জন তরুন রয়েছে।
ফেরত আসারা হলোঃ জুনাইয়েদ শেখ (১৮) আরিফুল ইসলাম (১৭) ইমন আক্তার (১৯) মোঃ মোমিন (২১) মোঃ মুন্না (১৮) সুবহা ফারাজি (১৬) খলিল শেখ (১৯) জাকির হোসেন (২০) আবু সাইদ (২৩) জান্নাত হোসেন (১৭) রবিউল শেখ (২১) মোঃ ফাইজুল (২০) আমেনা আক্তার (২০) হাসিফা খাতুন (১৪) এরকি খাতুন (১৬)খাদিজা খাতুন (২০) রুখসানা খাতুন (২১) আয়শা খাতুন (১৬) ইমিলি খাতুন (২১) বিলকিস বেগম (২০) রোজিনা খাতুন (১৮) হোসনেয়ারা আক্তার (২১)শিরিনা খাতুন (১৬) লিপি আক্তার (১৫) জুবাইদা খাতুন (১৭)। এদের বাড়ি নড়াইল, যশোর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, মাদারিপুর, রংপুর, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রমাম জেলায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি (তদন্ত) ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এরা সীমান্ত পথে পাসপোর্ট ভিসা বাদে অবৈধ ভাবে ভারত যেয়ে সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়। এরপর আদালতের মাধ্যেমে লিলুয়া ও সংগ্রাম নামে দুটি শেল্টার হোমে তারা প্রায় ২ থেকে ৫ বছর থাকে। আজ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে এরা দেশে ফিরেছে। ইমিগ্রেশন এর আনুষ্টানিকতা শেষে এদের বেনাপোল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেরত আসা বিলকিস বেগম বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যেমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারত পাড়ি জমাই। এরপর বাসা বাড়ি সহ বিভিন্ন কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে প্রায় ২ থেকে ৫ বছর শেল্টার হোমে থেকে আজ দেশে ফিরেছি। তিনি আরো বলেন ওই সব শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাঙ্গালী মেয়েরা আছে। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসা তরুন তরুনীদের তিনটি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর রাইটস এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর মুহিদ চৌধুরী মহিলা আইনজীবি সমিতির রেখা পাল ও জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর ফিল্ড অফিসার রোকেযা বেগম বলেন, ফেরত আসাদের যশোর নিয়ে তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Please follow and like us: