মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধ
নিউজ ডেস্ক:
দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
জানা গেছে, মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়ারণ্যের নিষেধাজ্ঞা এবং সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে বছরে ১৪৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হয় জেলেদের। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায়।
মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে প্রতি বছর ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। শুরুতে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকলেও ২০১৯ সালে সব ধরনের নৌযানকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।
মৎস্য অধিদফতর জানায়, সরকার এ নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়। গত বছর জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর আওতায় উপকূলের ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবার ৫৬ কেজি করে চাল পেয়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আমরা শুরু থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা মেনে আসছি। অধিকাংশ জেলে ও ট্রলারমালিক নিষেধাজ্ঞা মেনে সাগরে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন গভীর সাগরে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। এ সময় পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য শিকার করে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আমাদের সচেষ্ট ভূমিকা থাকবে। এছাড়া এ উপজেলার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০০ জেলেকে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।