তদন্তে বিজিবি:সাতক্ষীরায় এসএলআর জাতীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তি জনতার হাতে আটক!
রঘুনাথ খাঁ:
জনতা একটি এসএলআর জাতীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে গণধোলইয়ের পর বিজির কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালীপাড়ার সামছুর রহমানের রাইস মিলের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নাম নাম রানা (২৯)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারায়ণজোল গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
আলীপুর ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম লাকি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রানা নামের এক ব্যক্তি খানপুর মোড় দিয়ে ঢালীপাড়ায় ঢোকার সময় সামছুরের রাইস মিলের সামনে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সন্দেহ হয়। তার কোমরে জড়ানো গামছার মধ্যে একটি অস্ত্র দেখতে পেয়ে তাকে দাঁড়াতে বললে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাকে ধরার পর গামছায় মোড়ানো একটি বিদেশী এসএলআর সদৃশ্য জিনিস দেখা যায়। পরে তাকে মারধর দিয়ে ঢালীপাড়া মোড়ে আটকে রাখা হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই বাঁকাল চেকপোষ্টোর বিজিবি সদস্যরা অস্ত্রসহ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে চলে যায়। পরে তাকে বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়াটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভোমরা সীমান্তের বিপরীতে একটি অস্ত্র খোয়া যাওয়া নিয়ে কয়েকদিন আগে তোলপাড় হয়। এটি সেই অস্ত্র কিনা সেটা বিজিবি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর জানান, অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে জনতা আটক করে রেখেছে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ যেয়ে জানতে পারে ওই ব্যক্তিকে বিজিবি নিয়ে গেছে। অস্ত্রসহ আটককৃত যুবক সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালিয়নের লেঃ কর্ণেল আল মাহমুদ অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটকের কথা অস্বীকার না করেই বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য: ১০ মে অস্ত্রটি ছিনতাই হওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, বিএসএফের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে তারা। বর্তমানে বিএসএফ ওদের বর্ডারে অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে। আমাদের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রটি তল্লাশি করছি।