বাবার বাড়ি যেতে চাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখলেন স্বামী
ডেস্ক নিউজঃ
তুচ্ছ ঘটনায় নির্যাতন চালিয়ে গৃহবধূ শ্যামলীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন স্বামী মানিক মিয়া। এমন অভিযোগ নিহত শ্যামলীর স্বজনদের।
শনিবার সকালে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ মানিক মিয়াকে আটক করে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে হোগলাকান্দির হাবিবুর রহমানের কুয়েত প্রবাসী ছেলে মানিক মিয়ার সঙ্গে আদিয়াবাদের শেরপুর-কান্দাপাড়া এলাকার জসিম মিয়ার মেয়ে শ্যামলীর বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে মানিক দেশে আসেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়ি যেতে না দেয়ায় স্বামীর সঙ্গে শ্যামলীর ঝগড়া হয়। এরই জেরে শ্যামলীকে হত্যার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মানিক।
শনিবার সকালে শ্যামলীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে সেখানে গিয়ে মানিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্বজনরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।
আটক মানিকের দাবি, সকালে বাড়ি ফিরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান তিনি। পরে ভাবিদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। ওই সময় শ্যামলী বেঁচে ছিলেন। এর কয়েক মিনিট পর তার মৃত্যু হয়। তুচ্ছ ঘটনার জেরে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মানিকের।
শ্যামলীর মা রাবেয়া বেগমের দাবি, হত্যার পর মেয়েকে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর আগে, তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে মানিক। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রায়পুরা থানার এসআই দেব দুলাল দে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।