একজন কোয়ারেন্টাইনরত ব্যক্তির আর্তচিৎকার
এই বসুন্ধরা যখন ফুল-ফসলে পাখির কল-কাকলিতে ভরপুর ছিল
তখন বুঝিনাই বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ থাকার কি যন্ত্রণা।
মাঝেমাঝে আমার খুব করে বের হতে ইচ্ছা করে,
আমার সাথে দেখি সকলের ঘনিষ্ঠতা অনেকাংশ কমে গেছে।
স্পর্শ করা যাচ্ছে না স্নেহপরায়ণকে
যারা একসময় শ্যাওলার মত আমার গায়ে জড়িয়ে থাকতো।
আজকাল তারাও দেখছি আমার প্রতিবিমুখ
মনে হয় সারা পৃথিবীটা বদলে গেছে,
বদলে গেছে মানসিকতা।
লোকেরা আমাকে নিয়ে বলাবলি করে
আমি ঘর হতে যতটুকু বুঝতে পারি,
তাদের আলোচনার প্রতিটি শব্দ আমার
বুকে তীর হয়ে বাঁধে।
মনে হয় সমাজের সব থেকে অবহেলিত প্রাণীটি বোধ হয় আমি।
সকলের ভালোর জন্য আমি আজ ঘরে বন্দি
করোনাভাইরাস আজ পুরো পৃথিবীটাকে প্রচন্ডভাবে গ্রাস করেছে।
জেনেছি,আমার দেশও নাকি এর ভয়াবহতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
আক্রান্তের সংখ্যা,প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।
এই ছোট দেশ নিয়ে,
বর্তমানে আমার খুব চিন্তা হয়!
যেখানে পৃথিবীর নাম্বার
ওয়ান কান্ট্রিগুলো এর কাছে
পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে,
তার ছোবলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
সেখানে আমার দেশ কি করবে?
আজকাল পত্রিকা দেখতেও
আমার খুব ভয় হয়।
আমাদের দেশে নাকি নেই
চিকিৎসাদের সুব্যবস্থা,
ধরা পড়েছে শুধু পদে পদে ভেজাল,
ডাক্তারগণও নাকি নিজেকে পদত্যাগ করিয়ে নিচ্ছে
পর্যাপ্ত কিটের নাকি দেখা দিচ্ছে সংকট।
এই পরিস্থিতিতে আমার দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
কিন্তু এরই মাঝে আমার
দেশের নেতাদের সুন্দর
মুখের যুক্তিহীন বুলি
আমাকে বারবার বিচলিত করে তুলছে।
এই ভয়ার্ত পরিবেশে চাল,ডাল চুরি
বয়স্কভাতাদের নামে জালিয়াতি করে টাকা মেরে খাওয়া,
এসব অমানবিক কর্মের জবাব নেওয়ার জন্য বিবেক
আজ বিদ্রোহে ফেটে পড়েছে।
হাজারও প্রশ্ন আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে।
আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছে
থামাও অসভ্যতা- নোংরামি, জাগাও বিবেক,
আবদ্ধ হও নিয়মের বেড়াজালে এবং
প্রার্থনা কর- করোনা তুমি যাও,তুমি যাও
শুধু পৃথিবীকে শুধরানোর একটা সুযোগ দাও ।
“Asmaul Husna (Khushi)
Study :- Satkhira Govt. College
Dep :- Management 4 th Year(Batch)”