দেবহাটায় ডিস্ট্রিবিউটরের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার বিকাশ এজেন্ট, থানায় জিডি
দেবহাটায় বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটরের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ফিরোজ কবির (৩৮) নামের একজন বিকাশ এজেন্ট। এঘটনায় এক লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার দুই শত টাকাও খুইয়েছেন বিকাশের এজেন্ট ফিরোজ কবির। তিনি দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও সখিপুর বাজারের জুঁই ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক। রবিবার দুপুরে ডিস্ট্রিবিউটর আরিফের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হন তিনি। এঘটনায় প্রতারণার শিকার এজেন্ট ফিরোজ কবির দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
ডায়েরী নং- ৯৫২/২০। প্রতারণার শিকার বিকাশের এজেন্ট ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘদিনের ন্যায় শনিবার বিকাশের এরিয়া ডিস্ট্রিবিউটর জনৈক আরিফের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট ০১৭৭৭০৮৮৬০৬ নাম্বারটিতে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা বি,টু,বি করেন তিনি এবং ফোনেই পূর্বের ব্যালেন্স ছিলো আরো পনের হাজারের কিছু বেশি পরিমান টাকা। তার ওই এজেন্ট এ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সের পরিমান সম্পর্কে সবসময়ই কমবেশি ধারনা থাকতো ডিস্ট্রিবিউটর আরিফের।
রবিবার দুপুরে প্রথমে ০১৩১৪৪৬০৩৭৯ নাম্বার থেকে ফিরোজের এজেন্ট নাম্বারটিতে ফোন দিয়ে বিকাশের হেড অফিসের পরিচয় দিয়ে তাকে বলেন ‘আপনার এজেন্ট নাম্বারটিতে নতুন সিস্টেম চালু করা হবে, তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন’। এরপরই ডিস্ট্রিবিউটর আরিফ তার ব্যবহৃত ০১৯৫৮৪৫৪৫২৫ নাম্বার থেকে এজেন্ট ফিরোজের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ‘আপনাকে হেড অফিস থেকে ফোন দিচ্ছে, আপনি ফোন রিসিভ করে কথা বলুন এবং অফিসের সাথে লেনদেন ও তারা যেসকল তথ্য চায় সেগুলো দিয়ে দিন’।
এর কিছুক্ষনের মধ্যেই আবারো বিকাশের হেড অফিসের পরিচয় দিয়ে ০১৪০৫৫৩৩৪৭৮ নাম্বার থেকে ফিরোজের এজেন্ট ও পারসোনাল নাম্বারে ফোন করে পর্যায়ক্রমে ফিরোজের কাছ থেকে ০১৩০১২৬৭৫৩৯ নাম্বারে ২৯,৯৮৮ টাকা, ০১৮৮৪১৭৩৮৬৯ নাম্বারে ২৯,৯৮৭ টাকা, ০১৮৪১৪৬১২৩৫ নাম্বারে ২৯,৯৮৬ টাকা, ০১৮৯৩৬২৮১৫৪ নাম্বারে ২৯,৯৮৫ টাকা এবং ০১৮৬৩২৪৬৩০৮ নাম্বারে ১৫,৩১১ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ১,৩৫,২৫৭ টাকা ক্যাশ ইন করে নিয়ে অপর প্রান্ত থেকে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কিন্তু পরবর্তীতে একাধিকবার ডিস্ট্রিবিউটর আরিফের নাম্বারে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ না করায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় এজেন্ট ফিরোজের। একপর্যায়ে ডিস্ট্রিবিউটর আরিফ এজেন্ট ফিরোজকে ফোন দেয়াসহ লেনদেনের যাবতীয় বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকে। পরে ফিরোজ কবির দেবহাটা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
বর্তমানে ওই ডিস্ট্রিবিউটর আরিফের ফাঁদে পড়ে এক লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা খুইয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন প্রতারণার শিকার এজেন্ট ফিরোজ কবির। প্রতারণার ঘটনার সুষ্ঠ বিচারসহ খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও দেবহাটা থানা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী বিকাশ এজেন্ট ফিরোজ কবিরের অসহায় পরিবার।