আশাশুনির কাদাকাটিতে মৎস্য ঘেরের বাঁধ ছুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে একাকার করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
কাটাখালী গ্রামের ঘের মালিক জহুরুল ও কামরুল সানা জানান, তিনি (কামরুল) ৫০ বিঘা (ও খেজুরডাঙ্গা মৌজায় খাল ১ বিঘা), মধু ৫০ বিঘা, হায়দার ৩ বিঘা সহ আরো কয়েক জনের জমির দক্ষিণ পাশে খেজুরডাঙ্গা ও গাবতলা মৌজায় ৪বিঘা জমি (খাল) রয়েছে। খালের জমি এজমালি সম্পত্তি। জহুরুলের মৎস্য ঘেরের পাশে কেয়ারের রাস্তা। রাস্তার পাশদিয়ে ক্যানেল ছিল। রাস্তার কারণে ক্যানেলটি জরুহুল বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মশিউর আজম, মালেক সানা, নজরুল মুন্সী, রিপন, বাবুল, মহাদেব, সুদেব, যতীশ, সুনীলসহ তাদের লোকজন খাল উন্মুক্ত করার নামে তাদের (জহুরুল ও কামরুলের) ঘেরের বাঁধ জোরপূর্বক ছুটিয়ে দিয়ে ঘের একাকার করে দিয়েছে। শনিবার সকালে বাঁধ কাটার সময় লোক পাঠিয়ে তিনি সোমবার বাড়ি ফিরে আলোচনান্তে মিলেমিশে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বাঁধ কাটতে নিষেধ করলেও মানা হয়নি। তারা জোরপূর্বক মাটি কাটার ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপর পক্ষের মশিউর রহমান, জিয়াউর রহমান রিপন ও মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কেয়ার রাস্তার পাশের ক্যানেল ভেঙ্গে দেওয়াতে তাদের কোন অভিযোগ নেই, বরং জহুরুল তার ঘেরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে সাজার (এজমালী) ক্যানেলের বাঁধ ছুটিয়ে দিয়ে জমি নিজের ঘেরের সাথে মিশিয়ে নিয়েছেন। শরীকের কাউকে কিছু বলেনি। অন্যদিকে খালটি সম্পূর্ণ এজমালি সম্পত্তি। খালটিতে বাঁধ থাকায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, খাল থেকে সবাই পানি পেতে পারে সেজন্য খালের মাঝে আড়াআড়ি বাঁধ কেটে দিয়ে উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শরীকের সকলের সিদ্ধান্ত মত। খালের পূর্বপাশে কিছু জমি এ্যাওয়াজ ছিল, এখন কেউ এ্যাওয়াজ রাখতে চাচ্ছেনা। তাই শরীকের সবাই মিলে খাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। কোন জবর দখলের ঘটনা ঘটেনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)