বিশ্বের নতুন দেশ বুগেনভিলে!

বিশ্ব মানচিত্রে আরেকটি নতুন দেশ যুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র বুগেনভিলে তামা ও সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এটি গণভোটের মধ্য দিয়ে ১৯৬তম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।

শনিবার এ গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফায় ৭ ডিসেম্বর ভোট হবে। ডিসেম্বরের শেষদিকে জানা যাবে ফলাফল। পক্ষে ভোট পড়লে পৃথিবীর বুকে নতুন আরেক স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। খবর-বিবিসি।

এ ভোটের মধ্য দিয়ে অধিকতর স্বায়ত্তশাসন না স্বাধীনতা, এ  সিদ্ধান্তই নেবে দ্বীপপুঞ্জটির দুই লাখ সাত হাজার বাসিন্দা। দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনও তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, তিন-চতুর্থাংশ ভোটই স্বাধীনতার পক্ষে পড়বে। ভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হবে না। এটি আদতে চিহ্নিত হতে পারে বুগেনভিলের স্বাধীনতার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে।

তারা আরো বলছেন, বুগেনভিলে দ্বীপপুঞ্জটি গণভোটের মধ্য দিয়ে আলাদা হয়ে গেলে অন্যান্য প্রদেশও অধিকতর স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা চাইতে পারে- এই ভয়েই প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করছে।

এদিকে সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও কিরিবাতির পাশাপাশি সম্প্রতি বুগেনভিলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হয়েছে বেইজিং। দ্বীপপুঞ্জটির স্বাধীনতার প্রশ্নে এ গণভোট আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও অর্থায়ন করেছে।

১৮শ’ শতকে ফরাসি এক অনুসন্ধানকারী দ্বীপপুঞ্জটির খোঁজ পান। ১৯ শতকের শেষভাগে এটি জার্মান উপনিবেশে পরিণত হলে নাম হয় জার্মা নিউগিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া এর দখল নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন কিছু সময় জাপানের হাতে থাকলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মূলত অস্ট্রেলীয়রাই ছিল ‘বুগেনভিলের’ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

এ দ্বীপপুঞ্জটি ঔপনিবেশিক শাসনে থাকাকালীন সব সময়ই সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জার্মানরা তাদের শাসন শুরুর ২১ বছর পর ১৯০৫ সালে প্রথম বুগেনভিলে প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)