খুন জখমের উদ্দেশ্যে মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ: প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
মামলার সাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে খুন জখমের উদ্দেশ্যে মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা সদরের ঘরচালা গ্রামের আলাউদ্দীন গাজীর স্ত্রী শরিফা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি সাতক্ষীরা আদালতে একই এলাকার আব্দুল লতিফের পুত্র নাজমুল হোসেন লাল্টু, মৃত লিয়াকত আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামেরপুত্র নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলা আমার স্বামী আলাউদ্দীন সাক্ষী হওয়ায় প্রায়ই আমার স্বামীকে হুমকি দিত। আগামী ৭নভেম্বর১৯ তারিখে মামলার ধার্য্যদিন। তাছাড়া স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজন চলছে। এর জের ধরে গত ০৪ নভেম্বর তারিখ আনুমানিক রাত ১০টার সময় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা (জামায়কে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য) নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘরচালা শামসুরের মোড়ে যাওয়া মাত্র পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা নাজমুল হোসেন লাল্টু, রবিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার স্বামী আলাউদ্দীনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় জামাইয়ের মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য আমার স্বামীর পকেটে থাকা ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে মৃত ভেবে তারা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে ওই রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামীদের বিপক্ষে আমার স্বামী অবস্থান নেওয়ায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আদালতে দেওয়ানী ১৮৫/১৯ নং মামলা হয়েছে। উল্লেখিত নাজমুল হুদা লাল্টু এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ঘেরদখল, লুটপাট তার দৈনন্দিন কাজ। এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না। রবিউল ইসলাম চিহ্নিত নারী লোভী এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া নাজমুল হোসেন শিবির ক্যাডার। ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নাশকতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।