সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে এক যুবককে গাছের সাথে বেঁধে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক-৬
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আওয়ামী নেতার নেতৃত্বে এক যুবককে গাছের সাথে বেঁধে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্থানীয় অপর এক যুবক জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়া ৬ জনকে আটক করে।
শুক্রবার দুপুরে ঘন্টব্যাপি উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বকসা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।আটকৃতরা হলেন, বাকসা গ্রামের আশরাফুল, মোস্তাফিজুর, নজরুল, জলিল, ফিরোজ ও সেলিম।কেড়াগাছি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাকসা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
তার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন আতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ছেলে ওসমান গণিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয় এবং আমার ছেলে বউ আসমত আরা ও আমার স্ত্রী মোমেনাকে তারা নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বসতঘর ভাংচুর ও লুপটাট চালায়। স্থানীয় গ্রামবাসী এতে বাঁধা দিতে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এরই মধ্যে তারা সবকিছু তছনছ করে দেয়। তিনি জানান, আমার শ্বশুর ২২ শতক জমি আমার স্ত্রীর নামে লিখে দেন। তিন বছর আগে সেই জমিতে ঘর বাড়ি তৈরি করে আমরা বসবাস করে আসছি।
এরপর এই জমি আমার শ্বশুরের ভাতিজারা তাদের বলে তারা দাবি করেন এবং এটা নিয়ে তাদের সাথে বিরোধও চলছিল। এরই জেরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর আমার ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করলে আমরা তা দিতে অস্বীকার করি। এরপর গফুর আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার নেতৃত্বে এ তা-ব চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনির উল গীয়াস জানান, ভাংচুর চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে থানাতে কেউ কল দেয়নি। জরুরীসেবা ৯৯৯ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম সেখানে পাঠানো হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।