সাতক্ষীরার শিশু চিকিৎসক ডা: আজিজুরের সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধে দুদোকের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার শিশু চিকিৎসক ডা: আজিজুরের সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধে দুদোকের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগরের ভেটখালী এলাকার খোকনের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমার ৪ বছর বয়সী ছেলে শাহরিয়ার গুরুতর অসুস্থ গত ৩০ জুন ডা: আজিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। শাহরিয়ারকে দেখার জন্য রীতিমত ডা: আজিজুর ৬শত টাকা ফিও নেন। সে সময় শাহরিয়ার এর রক্তের কয়েকটি পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানান। তবে পরীক্ষা গুলো অবশ্যই ডক্টরস ল্যাব থেকে করাতে বলেন। কিন্তু ডক্টরস ল্যাব থেকে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেড় হাজার টাকা কম খরচ হওয়ায় আমি পরীক্ষাগুলো সেখান থেকে করি। পরীক্ষা করানোর পর রিপোর্টগুলো নিয়ে ডাঃ আজিজুর রহমানের সামনে দেওয়ার সাথে সাথে তিনি ওই রিপোর্ট কলম দিয়ে দাগাতে থাকেন এবং রিপোর্টগুলো ফেলে দিয়ে রিপোর্টগুলো ভুল বলে আমাকে চেম্বার থেকে চলে যেতে বলেন এবং দুব্যবহার করেন। আমার ছেলেটি গুরুতর অসুস্থ থাকলেও তিনি তাকে কোন চিকিৎসা দেননি। এঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়ি। একজন চিকিৎসক যিনি কিনা মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে এ পেশাকে বেছে নিয়েছেন তার এ কেমন ব্যবহার।
পরবর্তীতে ওই রিপোর্টগুলো নিয়ে শিশু চিকিৎসক খান গোলাম মোস্তফার কাছে গেলে তিনি রিপোর্টগুলো সব ঠিক আছে বলে জানান। অথচ ডা: আজিজুর রহমান সাহেবের কাছে রিপোর্টগুলো ঠিক হয়নি। তার একমাত্র কারণ তার পরিচালিত ডক্টরস ল্যাব থেকে করা হয়নি। এঘটনায় আমি কার কাছে অভিযোগ দেবো। সাতক্ষীরা জেলা বি এম এ’র সভাপতি ডা: আজিজুর রহমান নিজে। তাহলে কি আমার সাথে এ ব্যবহারের কোন বিচার হবে না। সেকারণে গত ৬ জুলাই সাংবাদিকদের বিষয়টি জানালে তারা পত্র-পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। সংবাদ প্রকাশে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আজিজুর রহমান এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজন বলে আমি মনে করি। এঘটনায় কোথায় তিনি নিজেকে শুধরে নিবেন। তা না করে উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ওই দিন সংবাদ প্রকাশের পর সাতক্ষীরা জেলার ৮০% মানুষ খুশি হয়েছে। তারা সকলেই ডা: আজিজুর রহমানের ব্যবহার এবং চিকিৎসার নামে বাণিজ্যর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শাস্তির দাবি করেছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গেছে। কতটা নির্লজ্জ হলে এরই মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসককে ম্যানেজ করে নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা প্রমাণ করতে মানববন্ধন করা যায়।
যদিও মানববন্ধনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মন্তব্য দেখলে বোঝা যাবে তিনি কেমন। তিনি ওই ডা: আজিজুর রহমানের সেবার নামে বাণিজ্য বন্ধ করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশন দুদোকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।