সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকূল এলাকার অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮৭টি সাইক্লেন শেল্টার। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা। একই সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

এদিকে, উপকূলীয় এলাকার খেয়াঘাটগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। উপকূীয় এলাকায় সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি জানান, সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হবে। এছাড়া স্বাভাবিক থেকে ৮ থেকে ১০ ফুট নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী। বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে উপকূলের মানুষ। আগের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহারা হয়ে পাউবোর বেড়িবাঁধ অথবা উঁচু কোনো স্থানে টংঘর বেঁধে বসবাসকারিরা ফের বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)