মাদকাসক্ত কাস্টম কর্মচারী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: : সাতক্ষীরা সদরের দেবনগর এলাকার মাদকাসক্ত সোহাগ হোসেন কর্তৃক তার স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেরক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তরে এক সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার শাকদাহ গ্রামের মৃত মোসলেম আলীর কন্য মোছা: সাজমিরা সুলতানা ঋতু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন বিগত ৯ মার্চ-২০২০ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক সাতক্ষীরা সদরের দেবনগর এলাকার জিয়ারুল সরদারের ছেলে সোহাগ হোসেন এর সাথে আমার বিবাহ হয়। আমার স্বামী সোহাগ হোসেন আমাকে বিয়ে করে তার বাড়িতে ন্ওেয়ার পর আমার পিতা মাতা আমার সুখের জন্য স্বামী সোহাগ হোসেনকে তার চাহিদামত একটি প্রাইভেটকার সংসারের প্রয়োজনীয় আসবাসপত্র সহ অনেক জিনিসপত্র দিয়েছিলেন যার আনুমানিক মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা। তবুও আমার স্বামী আমার উপর বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। কারন সে মাদকাসক্ত ও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল যা পরবর্তিতে আমার বোধগম্য হয়। সে সরকারি কাস্টম অফিসের কর্মচারী হওয়ার সুবাদে কাস্টম অফিসের কিছু অসাধু কমকর্তাদের সহযোগীতার দাপটের সহিত তারা অপরাধগুলো করিয়া যায়তেছে। এঘটনায় আমি নিরুপায় হয়ে কাস্টম অফিসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলেও সুবিচার পাই নাই। উপায়ন্ত না পাইয়া আমার পরিবারের পরামর্শে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করি।সেখানেও কাস্টম অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আমার বিচারকার্যে প্রভাব বিস্তার করার প্রচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে। এঘটনায় আমার পিতা শোকে দুঃখে গত ৩০ এপ্রিল‘২০২৪ তারিখে মুত্যু বরন করেন। তবে নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মামলার নির্ধারিত তারিখে কাস্টম কর্মকর্তাদের সকল প্রকার প্রভাবকে উপেক্ষা করে আসামী সোহাগ হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে একজন নারী নির্যাতনকারি, মাদক সেবনকারিকে প্রচালিত আইনানুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। একইসাথে এহেন জঘন্য নারী নির্যাতনকারী যাহাতে কাস্টম অফিসের মত পবিত্র জায়গায় চাকুরী না করিতে পারে তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।