দেবহাটায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ৪ বার গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ!

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ৪ বার গর্ভের সন্তান নষ্ট সহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে (১৫ এপ্রিল) দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শামিমা খাতুন (২১) নামের ওই ভ‚ক্তভোগী নারী।

                                                                                                                                                      ছবি- ভূক্তভোগী নারী-শামিমা খাতুন

ভূক্তভোগী নারী জানান, আনুমানিক ৩ বছর পূর্বে ভেন্নাপোতা গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র ও কুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান (জুয়েল) সাথে ইসলামী শরিয়াত অনুযায়ী বিবাহ হয়। বিবাহের পরে জানিতে পারি জুয়েলের আরো স্ত্রী আছে। তার স্ত্রী থাকা সত্তে¡ও বিষয়টি গোপন রেখে আমাকে বিবাহ করে। বিষয়টি নিয়ে কমবেশি সংসারে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। দাম্পত্য জীবনে ঔরসে আমার গর্ভে বিভিন্ন সময় ৪টা সন্তান আসে। কিন্তু যতবার সন্তান আসে ততবার সে বিভিন্ন বাহানায় ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত করায়। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সন্তান নষ্ট করেও সে থেমে থাকেনি। তাছাড়া বিবাহের পর থেকে সে ঠিকতম ভরন পোষণ না দিয়ে উল্টো কারণে অকারণে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দিয়ে আসছে। তার নির্যাতন সয্য করতে না পেরে ১৫দিন পূর্বে তালাক প্রদান করি। কিন্তু তালাক দেওয়ার পর থেকে জুয়েল ও তার ভাই জিল্লুর রহমান আামাকে জীবন নাশের হুমকীসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির হুমকী দেখিয়ে আসছে। গত ১০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আমি ভেন্নাপোতা গ্রামে আমার নানী সফুরা খাতুন (৬০) এর বাড়িতে অবস্থান করি। জুয়েল সেখানে এসে আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে জখম করে চলে যায়। বিয়ষটি নিয়ে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানানো হয়েছে। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা ও ডিবি পুলিশ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

জাহিদুর রহমান (জুয়েল) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি বলবো, আমি কিছুই করিনি।

এ বিষয়ে কুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আছাদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন জঘন্ন কাজ করায় আমি নিজেও লজ্জিত। তালাক দেওয়ার পরও সেই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন বিষয় মেনে নেওয়ার মত না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)