শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আর কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন চার জন। শ্যামনগরে বিএনপির দলীয় প্রার্থী থাকলেও কালিগঞ্জে নির্বাচন করছেন না কোন বিএনপি নেতা। তবে দুটোতেই জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন। আর শ্যামনগরের মতো কালিগঞ্জেও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা,উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও: আব্দুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শ্যামনগর পূজা উপযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডল।
কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি অংশ নিচ্ছেনা উপজেলা নির্বাচনে। তবে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা। তিনি বলেন, “উপজেলার যে সমস্ত নির্যাতিত মানুষ রয়েছে,তাদের ব্যাপক সাড়া আমি পাচ্ছি। দলের উচিৎ,স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে এলাউ করা।’’
শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের ঘাটি। ২০১৪ সালে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জামায়াতের প্রার্থী মাও; আব্দুল বারী। সেই জনসমর্থনকে পুজি করে এবার প্রার্থী দেওয়া হয়েছে জামায়াতের পক্ষ থেকে। তবে সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রহমানের।
তিনি বলেন,‘‘আমি এখনো প্রচারে কোন বাঁধা পাইনি। ভবিষ্যৎই বলে দেবে কি হবে। আমরা প্রত্যাশা করি,ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে।’’
নির্বাচন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়,কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন চার জন প্রার্থী । তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান সুমন,শেখ রকিবুজ্জামান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজনপ্রার্থী থাকলেও মানুষ লীগ করেন বলে নিজের জয়ের বিষয়ে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা দেখেন না বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী।
তিনি বলেন,‘‘ যতগুলো সড়ক, সবগুলোর কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে আমরা ছিলাম ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৮৬তম। পরে বারবার প্রথম হওয়ার কারণে এই উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলায় রুপান্তর করার পাইলটিং প্রকল্প চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও আমি মানুষ লীগ করি বলে কোন সমস্যা হবে না। ’’
২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশগ্রহন করেছিল জামায়াত। ২০১৮ সালে ভোট বয়কট করে ২০২৪ সালে আবারও ভোটে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। ভোট সুষ্ঠু হলে নিজের জয়ের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল আজিজের।
তিনি বলেন,‘‘২০১৪ সালে নির্বাচন করেছি। কিন্ত মানুষ জানে কি হয়েছিল। এবার যদি জনগণ ভোট দিতে পারে,তবে আমি বিজয়ী হব। তবে জনমনে সন্দেহ আছে,ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা,এবিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার ভাবা দরকার।