আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড: শহিদুল ইসলাম পিন্টুর মতবিনিময়

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মো.শহিদুল ইসলাম পিন্টুর মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৩মার্চ) সকাল ১১টা প্রেসক্লাব কার্যালয় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেন, আপনারা আমার পরিচয় জানেন আমি সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান আলীর ছোট ভাই। আমি আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল ১৪ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ৩১ বছর আমি আইনজীবী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় ৫০ বছরে সদরের যে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি, সেটি আমার হাত দ্বারা রুহুল সাহেব মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে হয়েছে। আমি নিজের অর্থায়নে সাড়ে ১৬ বিঘা জমি ক্রয় করে বোলাবাড়িয়া যে স্লুইস গেট নির্মাণ হয়েছিল তার সাথে কোন সংযোগ খাল ছিল না। দুইটা ইউনিয়নের মানুষ পানি পেত না । বর্ষার সময় সকল এলাকা ঘের ডুবে যেত। আমি আমার নামে জমি করায় করে দুইটা ইউনিয়ন আশাশুনি এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছি। এবং ওই দলিলে এও উল্লেখ আছে এই জমি আমি ও আমার পরিবারের কেউ বন্দক বা বিক্রি করতে পারিবে না। আপনারা জানেন ২০০৩ সালে ৪দলীয় জোট ক্ষমতা ছিল আমি তখন নিজের টাকা খরচ করে তদবির করে খারাপ গোয়াল ঘরের মতো বললে ভুল হয় না একটি ইউনিয়ন পরিষদ ছিল এটাকে আমি একটি দৃশ্যমান সরকারের মডেল অনুযায়ী একটি ইউনিয়ন পরিষদ উপহার দিয়েছি। অনেক এলাকায় রাস্তা নাই ,আমি ইট দিয়ে রাস্তা করার ব্যবস্থা করেছি। এমন কি কোথাও কোথাও জমি কিনেও রাস্তা করে দিয়েছি । আমি ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনো কারোর হক নষ্ট করিনি।
তিনি আরো বলেন ,আমার চোখ অপারেশন করার কারণে আমি একটু দেরিতে প্রচারণা শুরু করেছি প্রথমে গুনাকরকাটি এবং পরে নলতা শরীফ মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আমি নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছি।গত কয়দিন সাধারণ মানুষের সাথে মিশে বুঝেছি তারা এখনো পর্যন্ত আমাকে কতটা ভালবাসে এবং আমি তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। তিনি আরো বলেন আমি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব থাকাকালীন এবং সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন অনেককেই চাকরি দিয়েছি, তারা এখন খুব ভালো ভালো পজিশনে রয়েছে। আমি চাকরি দেয়ার জন্য কারো কাছ থেকে একটি টাকাও কখনো নেইনি। আজকে যদি আমি টাকা নিয়ে চাকরি দিতাম তাহলে কোটি কোটি টাকা নিতে পারতাম কিন্তু আমি কখনো অসৎ পথ অবলম্বন করিনি। যাদের সাথে গিয়েছি তাদের কাছ থেকে কখনো এক কাপ চা খেয়েছি কেউ বলতে পারবেনা। তিনি আরো বলেন সরকারদলীয় কেউ যদি নির্বাচিত না হয় তাহলে এই উপজেলার কোন উন্নয়ন হবে না। তিনি এ সময় আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপজেলাবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন। মত বিনিময় কালে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)