আশাশুনির ভূমিদস্যূদের মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর মৌজার খাস সম্পত্তি ভূমিদস্যূদের দখল থেকে মুক্ত ও ইজারা গ্রহীতাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান বরাবর বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন , মো.শাহাজান গাজী, কোপাত আলী মোড়ল, মো.শাহেব আলী লাল্টু, আব্দুল জলিল, ফতেমা, কদবানু বেগম প্রমুখ। এসময় তারা বলেন, ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে আশাশুনি ভূমি অফিস থেকে ২১৪/১৪৩০ কেসমুলে ৭৩ শতক খাস জমি ইজারা নেন কোপাত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি সেখানে মাছ চাষ করতেন। এরপর এই ইজারার বিরুদ্ধে এলাকার ভূমিদস্যূরা হাইকোর্টে সিভিল বিভাগে ১৪০(কন) এফ/২০১৮ নং মামলা দায়ের করে। এই মামলায় কোপাত আলীর ৭৩ শতক খাস জমির কোন অন্তর্ভূক্তি নেই। কারন এই জমি এসএ ৬৯ ও ৭০ খতিয়ানভুক্ত ১৬৮ হাল ৪৮৯ দাগের সম্পত্তি, এটি মামলায় লেখা নেই এবং তা নালিশী সম্পত্তি নয়। কিন্তু তার পরেও স্থানীয় ভূমিদস্যূরা ঢাকায় বসবাস করা এক ব্যক্তির সহায়তায় হাইকোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে আসে। এই আদেশে আশাশুনির সহকারী ভূমি কমিশনার অফিস থেকে ২১৪/১৪৩০ নং ইজারাটি বাতিল করা হয় যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। মানববন্ধনে ইজারা গ্রহীতা কোপাত আলী তার বক্তব্যে বলেন, প্রভাব খাটিয়ে এবং নানা কৌশলে ভূমিদস্যূরা এই জমির দখল নিতে চাইছে। এভাবে চলতে থাকলে ওই এলাকার সব সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যূরা দখল করে নেবে। ভূমিদস্যূরা ইতিমধ্যেই তাদেরকে হয়রানি করতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করে চলেছে। এই পর্যন্ত ৪টি মিথ্যা মামলা করেছে তারা যার মধ্যে ২টি মামলা ইজারা বাতিলের পর করা হয়েছে। এই ৭৩ শতক জমিতে তিনি সহ এলাকার অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ মাছ চাষ করতেন। বর্তমানে তারা মাছ চাষ না করতে পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অর্ধাহারে অনাহারে থাকছেন।
ভূমিদস্যূদের এসব হয়রানি থেকে রেহাই পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফাতেমা খাতুন ও কদবানু বলেন, তারা মিথ্যা মামলা করা ছাড়াও রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে হামলা করছে, ইটপাটকেল মারছে। রাস্তাঘাটে দেখা হলে হেনস্থা করছে, মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এভাবে তাদের বেঁচে থাকা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। অতি দ্রুত জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হওয়া দরকার।