৭ বছর বিদ্যালয়ে হাজির না হয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ শিক্ষিকা শান্তি বালার

হাফিজুর রহমান: ভোকেশনালের (ট্রেড) সহকারি শিক্ষিকা শান্তি বালা লস্কর অসুস্থতার অজুহাতে দীর্ঘ ৭ বছরের অধিক সময় হতে বিদ্যালয় হাজির না হয়েও বাড়ি বসে দিব্যি বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও প্রধান অফিস সহকারীর পরস্পর যোগসাজোগে মোটা অংকের টাকার সুবিধার বিনিময়ে প্রতিমাসে হাজির দেখাইয়া নিয়মিত বেতন ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তলোনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের (ভোকেশনাল) সহকারী শিক্ষিকা শান্তি বালা লস্কর ৭ বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থতার কথা বলে কোন প্রকার ছুটি, ডাক্তারি সনদ ছাড়া বিদ্যালয় আসেন না। অথচ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাছাড়, অফিস সহকারি মূল হোতা ফজলুর রহমানের জোগসাযোগে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে নিয়মিত হাজিরা দেখিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করে ভোগ করে আসছে। সহকারী শিক্ষিকা শান্তিবালা লস্কর কালীগঞ্জের ভাড়াসিমলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া শিক্ষক রবিন লস্করের স্ত্রী। ওই স্কুলের কারিগরি বিভাগের( ভোকেশনাল) সহকারি শিক্ষিকা দীর্ঘ ৭ বছর বিদ্যালয় না আসা ছাড়াও আরো ১ জন শিক্ষিকা অবসরে যাওয়ায় ২ জন শিক্ষক না থাকায় অত্র স্কুলের ছাত্রীদের পড়াশোনার দারুণ ব্যাঘাত ঘটছে বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী , অভিভাবকরা সাংবাদিকদের জানান।কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ ‘শ গজ দূরে নাকের ডগায় অবস্থিত থাকলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহ কিছুই জানেন না বলে এবং এই প্রথম তিনি শুনলেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে ঐ শিক্ষিকা শান্তি বালার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে তার স্বামী শিক্ষক রবিন লস্করের কাছে ফোন দিলে তিনি প্রথমে ১০-১৫ দিন স্কুলে না যাওয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে নিউজ করলে তার স্ত্রীর বড় ক্ষতি হওয়ার কথা বলে তিনি অসুস্থ শয্যাশাহী জুন জুলাইতে নতুন স্কেল পাইলে তার স্ত্রীকে স্বেচ্ছায় অবসর নিবেন বলে জানান।

প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাছাড়ের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ঘটনাটি অস্বীকার করে পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বিকার গেলেও পরে অসুস্থতার কথা বলে মাস খানিক আসে না বলে জানালেও পরবর্তীতে সব

স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন ,আগে কি হয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না তবে আমার ২ বছরে সে অসুস্থতার কথা বলেছে।

তবে সাত বছর বিদ্যালয় না এসেওবেতন ভাতা উত্তোলনের বিলিয়ে তার স্বাক্ষর এবং বেতনের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানানো হয়েছে কিনা আদৌ তিনি জানেন কিনা সে বিষয়ে কোনো সদুউত্তর দিতে পারেনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)