সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির মোয়াদ উত্তীর্ণ অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির মোয়াদ উত্তীর্ণ অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির সদস্যরা। দেখার কেউ নেই। চরম স্বেচ্চাচারীতার কারণে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির ১১ সদস্য বিশিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি থাকলেও সভাপতি ও সেক্রেটারীর স্বেচ্ছাচারীতা ও একক আধিপত্য বিস্তারের কারণে দীর্ঘদিন অন্যান্য সদস্যদের বাদ দিয়ে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে রাম রাজত্ব গড়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ইতিমধ্যে তাদের পকেটস্থ ও পছন্দমত অবৈধ কমিটি বহাল রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে কমিটি হয়েছিল। এর পর আর কোন কমিটি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কোন সভা আহবান না করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একক সিদ্ধান্তে স্বেচ্চাচারীতার মধ্য দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ভোট বা কমিটি না করে সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির সভাপতি হয়ে আছেন সাহানা মহিদ বুলু ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছেন মোহসেনা শেখ। প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারি ছিলেন শামীমা পারভীন ডেইজি। অর্থ আত্মসাতে সুবিধা করতে না পারায় তাকে বাদ দিয়ে সভাপতি/সেক্রেটারী পছন্দমত নিজের মনোপূতঃ কুলছুম নামের এক মহিলাকে অস্থায়ীভাবে অফিস সহকারি করেছেন। আলোচনা বা সভা না করে ও কোন রেজুলেশন না করে এবং কাউকে না জানিয়ে আর্থিক লেন দেন চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব নিকাশ নেই। স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ আয়-ব্যয়ের খরচ ও ভাতার নামে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ তুলেছে অন্যান্য সদস্যরা। প্রতিষ্ঠানটির আয়ের উৎস সমিতির জায়গায় ১২টি দোকান এবং অনুদানের অর্থের কোন হিসাব দিতে সদস্যদের কাছে ব্যর্থ হয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করতে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে আছে। সেলাই প্রশিক্ষণের ২ টি মেশিন শহরের নিউমার্কেট এলাকায় এক টেইলার্সে ভাড়া দিয়ে রেখেছিল।
এব্যাপারে সংগঠনের সভাপতি সাহানা মহিদ বুলু সংবাদ কর্মীদের বলেন, সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই আমরা আমাদের মতো করে চালাচ্ছি। সদস্যরা অভিযোগ তুলেছে বিধায় আমরা এডহক কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শীঘ্রই সংগঠনের স্বার্থে এডহক কমিটি ঘোষণা করা হবে।” এব্যাপারে সংগঠনের সদস্য শিমুন শামস্ বলেন, কয়েটি বিষয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। যেটি আমার স্বাক্ষর নয়। এমনভাবে চললে সংগঠনটি একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।” সংগঠনের সদস্য ফারহা দীবা খান সাথী, শিমুন শামসসহ একাধিক সদস্য জানান,

সাতক্ষীরা মহিলা সমিতি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ও সংগঠনের সার্বিক উন্নয়নে এবং সেই সাথে সংগঠনটি ভালোভাবে পরিচালনা করতে সকল সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি তৈরী করা জরুরী হয়ে পড়েছে।” এবারে সঠিক তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)