সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীর স্ত্রীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রঘুনাথ খাঁ: সাতক্ষীরার আগরদাড়িতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শারীরিক প্রতিবন্ধীর স্ত্রী, মাতা ও শিশু সন্তানসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদরের চুপড়িয়া (আগরদাড়ী ইউনিয়ন) গ্রামের মৃত সদর উদ্দীন মোল্ল্যার ছেলে প্রতিবন্ধি আবুল বাসার।
আবুল বাসার বলেন, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। মায়ের কেনা ও রেকডীয় জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু ভুল বশত পিতার নামে রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় রেকর্ড সংশোধনের মামলা করা হয়েছে। বাবার নামে রেকর্ড হওয়ায় চাচাতো ভাইয়েরা ওয়ারেশ দাবি করে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের পায়তারা শুরু করে। সেখানে আদালত নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন। কিন্তু মৃত নজির উদ্দীনের ছেলে সোহরাব হোসেন ও তাদের শরীকরা আদালতের নির্দেশনা না মেনে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলসহ অন্যত্র বিক্রয়ের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জের ধরে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই সারিয়াত, শাহাবুদ্দিন, ইন্দিরা গ্রামের কামরুল ইসলাম, মুক্তার মোড়লের পুত্র মিকাইল হোসেনসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে তাকে খুঁজে না পেয়ে মাকে মারপিট শুরু করে। বোন চম্পা খাতুন এবং স্ত্রী নূর জাহান খাতুন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকেও অমানবিকভাবে মারপিট করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরো বলেন প্রয়াত সদর উদ্দীনের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় শিশু অবস্থায় তাকে দক্তক নিয়েছিলেন। যদিও তিনি কখনো বুঝতেই পারেননি যে মৃত সদর উদ্দীন এবং মনোয়ারা খাতুন তার পিতা-মাতা নন। পিতা মারা যাওয়ার পরে জমির বিরোধ হলে বিষয়টি অবগত সামনে আসে। তার চাচাত ভাইয়েরা তাকে নি:সন্তান হিসেবে দাবি করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। অথচ উক্ত সম্পত্তি তার মা নিজ নামে কিনেছিলেন। সেই সম্পত্তি ভাগ তাদের দাবি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। শুধুমাত্র তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং অসহায় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত সোহরাব ও তার ভাইয়েরা তাদের সম্পত্তির দখল নিতে চায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন দাবি করে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)