খালি পেটে আপেল খেলে যে ক্ষতি হয়?

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। প্রতিদিনের খাবারে একটি করে আপেল রাখা খুবই ভাল৷ এতে অনেক পুষ্টি রয়েছে। যেমন- ডায়েটারি ফাইবার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, বি৬, ই, কে, প্রোটিন, কার্বস, পলিফেনল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি।

তবে আপেলও অম্লীয়। এটির পিএইচ মাত্রা প্রায় ৩.৫, যা লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফলের তুলনায় সামান্য কম অম্লীয়। তবে কলা ও আঙুরের চেয়ে আপেল বেশি অ্যাসিডিক। এই পরিস্থিতিতে, যে কোনও সময় এই ফলটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত এবং কিছু জিনিসের সঙ্গেই এটি খাওয়া উচিত।

আপেল খাওয়ার সঠিক উপায়

আপেলে দুই ধরনের অ্যাসিড রয়েছে, ম্যালিক এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন সি)। তাই আপেল খাওয়ার আগে সাবধান হোন। আপনার যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তাহলে কখনোই খালি পেটে আপেল খাওয়া উচিত নয়। খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর আপেল খান।

দুধ, দই, পনির, মাখনের মতো দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে মিশিয়ে ভুলেও আপেল খাবেন না। কারণ, আপেলে উপস্থিত সাইট্রিক ফ্রুট অ্যাসিড দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, যার কারণে বিপাকীয় বর্জ্য সঠিকভাবে হজম হয় না। আপনি যদি আপেল থেকে তৈরি মিল্কশেক পান করেন তবে এটি অস্বাস্থ্যকরও, কারণ এটি অন্ত্রের আস্তরণের ক্ষতি করতে পারে।

আপেল থেকে খোসা ছাড়িয়ে খান। কারণ, এতে ফ্রুট ওয়াক্স, কীটনাশক, রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। খোসাসহ আপেল খেতে চাইলে ভেজিটেবল ওয়াশ দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।

বাচ্চাদের টিফিনে আপেল দিয়ে থাকলে আপেলের টুকরোগুলো এক চিমটি লবণ দিয়ে গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন, যাতে কাটার পরে আপেলগুলো বাদামি না হয়ে যায়। এভাবে পিএইচ লেভেল কমানো যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কাঁচা আপেল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আপেলের অ্যাস্ট্রিনজেন্ট গুণাগুণ পরিপাকতন্ত্র এবং কোলনকে আরও শুষ্ক করে দিতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বরং কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় সেদ্ধ আপেল খান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)