আ.লীগকে খেসারত দিতে হবে ——- ফারুক
ডেস্ক রিপোট: দ্বাদশ সংসদে একতরফা নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে যুগ যুগ ধরে খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জয়নুল আবদিন ফারুক।নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য বিএনপিকে অনেক দিন খেসারত দিতে হবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এই মন্তব্য করেন।শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপনি কী করে বলেন, বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে , আমি আপনাকে উল্টো বলতে চাই, খেসারত আপনাকেই দিতে হবে। কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া যে নির্বাচন করেছেন, যে সরকার আপনারা গঠন করেছেন তার খেসারত আপনাদেরই দিতে হবে যুগ যুগ ধরে। যেখানে সীমান্তে এখন প্রতিনিয়য়ত গুলি হচ্ছে, যেখানে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্রয়ক্ষমতা বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে তচনচ করে দিচ্ছেন, যেখানে আপনারা দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যে কলঙ্ক সৃষ্টি করেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন তাই এরজন্য আপনাকেই খেসারত দিতে হবে।
ফারুক বলেন অপেক্ষা করুন, সময় খুব কাছে, আপনাকে খেসারতের জন্য জনগণের কাছে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারা যে কলঙ্ক লেপন করেছেন এর জন্য আপনাদের দায়ী থাকতে হবে।
২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ছিল সরকারের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ বলেন, এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তা না হলে জনগণের রোষাণলে যখন পড়বেন তখন শ্রীলংকার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা আপনাদের হবে।
বিএনপিকে আন্ডার স্টিমেট কইরেন না। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপি শহীদ জিয়ার দল, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার দল, বিএনপি তারেক রহমানের দল। বিএনপিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলের মতো শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা রাজপথে আছি, জনগণকে নিয়ে আমরা রাজপথেই থাকব ।
জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে
সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহীম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার সঞ্চালনায় এতে বিএনপির আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এজমল হোসেন পাইলট, রফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের কাদের সিদ্দিকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।