চাচাতো ভাইয়ের স্বীকারোক্তি: ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে শিশুকে খুন

ডেস্ক নিউজ:
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে সাত বছরের হালিমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার আপন চাচাতো ভাই। বিষয়টি জানার পর ছেলেকে বাঁচাতে ঘরে মরদেহ গুম করেন তার মা-বাবা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক আব্দুল মোমিনের কাছে হত্যার স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোর।

নিহত শিশু হালিমা শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা লস্করপুর গ্রামের হাবলু মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় কেজি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।

জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুর থেকে খোঁজ মিলছিল না শিশু হালিমার। তিন দিন পর সোমবার বিকেলে বড় চাচা আনিছার রহমানের ঘর থেকে হালিমার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে থানায় হত্যা মামলা করেন হালিমার বাবা।

পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গ্রেফতার কিশোর স্থানীয় একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জবানবন্দিতে সে বলেছে, গত শুক্রবার দুপুরে টিভি দেখার কথা বলে হালিমাকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। নিজেকে বাঁচাতে তার হাতে কামড় দেয় ও কান্নাকাটি করে হালিমা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে একপর্যায়ে হাত দিয়ে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরে বস্তাবন্দি করে রেখে দেয়।

তিনি আরো জানান, মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেছেন আনিছার ও তার স্ত্রী। হত্যা মামলায় তাদেরও গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের ছেলেকে পাঠানো হয়েছে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে। ময়নাতদন্ত শেষে হালিমার মরদেহ মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুত আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)